কথায় আছে প্রেমে পাগলও 'হতে পারে মানুষ। তাই বিবাহিত এবং সন্তানের মা হয়েও এক যুবকের প্রেমে পাগলই হয়েছেন তিনি। তার জন্য স্বামীকেও ছেড়ে দিয়েছেন। কিন্তু সেই প্রেমিকই যে এমন বেঁকে বসবে স্বপ্নেও ভাবেননি সেকথা। তাই লকডাউনে ট্রেন, বাস, যাতায়াতের সব ব্যবস্থা বন্ধ হলেও একশো কিলোমিটার রাস্তা টপকে চলে এসেছেন প্রেমিকের বাড়ির সামনে। ডাকাডাকি করেও মেলেনি সাড়া । অগত্যা প্রেমিকের বাড়ির সামনেই ধরনায় বসে পড়েন ওই তরুণী। যতক্ষণ না প্রেমিক এসে বিয়ে করছে ততক্ষণ নড়বেন না পণ করেছেন সামিরুন খাতুন।
ঘটনাকে ঘিরে শনিবার সকাল থেকে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায় পূর্ব বর্ধমানের ভাতার থানার কালুত্তক গ্রামে। এখানেই বাড়ি মুর্শিদাবাদের বহরমপুরের বাসিন্দা সামিরুনের প্রেমিক তুহিনের। সামিরুনের দাবি, কালুত্তক গ্রামের অবিবাহিত তুহিন খানের স'ঙ্গে ফোনে আলাপ। তার পর প্রেম। কিন্তু বছর দুয়েক প্রেমপর্ব চললেও এখন তাঁকে অস্বীকার করছে তুহিন। মোবাইলের সিমও না কি পাল্টে ফেলেছে সে। তাই প্রেমিকের স'ঙ্গে দেখা করতে, তার স'ঙ্গে সংসার করার দাবি নিয়ে সামিরুন এদিন সটান হাজির হয়ে যান কালুত্তক গ্রামে। কিন্তু তুহিনের দেখা মেলেনি এদিন গ্রামে।
তার স'ঙ্গে তাই কথা বলাও সম্ভব হয়নি। সেই কারণে সামিরুনের দাবির সত্যাসত্যও যাচাই করা যায়নি। তবে কি বিনা কারণে কোন মেয়ে এত দূরে এসে ধ’রা দেবে ? সামিরুন অনেক ডাকাডাকি করলেও বাড়ির কেউই বেরোনননি। সামিরুন তখন তুহিনের বাড়ির সামনেই ধরনার বসে পড়েন। সামিরুন বলেন, “তুহিনের প্রেমে পড়ে স্বামী সংসার ছেড়েছি। এখন তুহিন আমাকে অস্বীকার করতে চাইছে।তাই ওর বাড়ির সামনেই ধরনা দিয়ে পড়ে থাকব। যতক্ষণ না ও আমা'র স'ঙ্গে দেখা করছে। আমি নড়ব না।” আর সামিরুনের ধরনা দেখতে বহু মানুষ উৎসুক হয়ে ভিড় করেন সেখানে। নানা গু'ঞ্জনও শুরু হয় এলাকায়। বর্তমানে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এবং প্রচুর মানুষ সেখানে ভিড় জমিয়েছে এটা দেখার জন্য যে শেষ পর্যন্ত কি হয় ।
Leave a Reply