আগামী অর্থবছরে মূল্যস্ফীতি ৫ দশমিক ৪ শতাংশে আট'কে রাখতে চায় সরকার। বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেট উত্থাপনের সময় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এ লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেন।
মূল্যস্ফীতির প্রাক্কলন সম্পর্কে অর্থমন্ত্রী বলেন, দেশে কৃষি উৎপাদন বেড়েছে। ফলে নিয়ন্ত্রণের মধ্যেই থাকবে মূল্যস্ফীতি। আগামী অর্থবছর বিশ্ববাজারে জ্বা'লানি তেলের দাম কমমূল্যে স্থিতিশীল থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে। এতে বিশ্ববাজারে পণ্যমূল্য বাড়ার আশঙ্কা কম। এছাড়া দেশের ভেতরে কৃষি ও শিল্পপণ্যের উৎপাদন ও সরবরাহ স্বাভাবিক থাকবে বলে মনে করে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। চলতি অর্থবছরে মূল্যস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা ধ’রা হয়েছে ৫ দশমিক ৫ শতাংশ।
এদিকে করো'নার পরিস্থিতির কারণে চলতি বছরের এপ্রিল ও মে মাসে দেশজুড়ে অঘোষিত লকডাউন ছিলো। ফলে স্থবির হয়ে পড়েছিল দেশের সব ধরনের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড। মানুষের ভোগ্যপণ্যের চাহিদাও অনেক কমে গেছে। ফলে চলতি বছরের মে মাসে মূল্যস্ফীতির হার কমে ৫ দশমিক ৩৫ শতাংশ হয়েছে। যা আগের মাস এপ্রিলে ছিল ৫ দশমিক ৯৬ শতাংশ এবং ২০১৯ সালের মে মাসে ছিল ৫ দশমিক ৬৩ শতাংশ।
এ প্রস'ঙ্গে পলিসি রিসার্স ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মুনসুর বলেন, করো'নার কারণে বিপর্যস্ত দেশের অর্থনীতি। মানুষের আয় কমে যাওয়ায় ভোগ্যপণ্যের চাহিাও কমে গেছে। ফলে মানুষের কেনার সামর'্থ্যও কমে আসছে। যা আগামীতেও অব্যা'হত থাকবে। ফলে মূল্যস্ফীতি বাড়ার সম্ভাবনা নেই। এটি ৫ শতাংশের মধ্যেই থাকবে।
Leave a Reply