মানুষের জীবনে রোগ ব্যাধির শেষ নেই। সারা বছর ধরে কিছু না কিছু সমস্যা লেগেই রয়েছে। তার মধ্যে বিভিন্ন জায়গায় ব্যথা অন্যতম।
প্রত্যেক মানুষেরই বিভিন্ন কারনে কোনো না কোনো জায়গায় ব্যথা হয়ে থাকে। কিন্তু আজকের এই ঘটনাটা সম্পূর্ণই অন্য একটা ঘটনা। এরকম ঘটনা সচরাচর দেখাই যায় না, যা ডাক্তারদেরও অবাক করে দিয়েছে।
ঘটনার সুত্রপাত চীন, চীনের এলভি নামের এক যুবক কানের ব্যথা নিয়ে চিকিৎসা করাতে গিয়েছিল। চিকিৎসা করার পর ডাক্তাররা 'হতবম্ভ হয়ে গেছেন। কানের ব্যথার উৎস খুজতে গিয়ে ডাক্তাররা অবাক হয়ে যান। পরীক্ষা করে দেখা যায় ওই যুবকের কানের ভিতরে বাসা বেধেছে আরশোলা। একটি নয়, পুরো গোটা আরশোলার পরিবার বাসা বেধেছে ওই যুবকের কানে।
কয়েকদিন ধরে এলভি নামের ওই যুবকের কানে প্রচণ্ড ব্যথা হচ্ছিল। সে ভেবেছিল হয়তো কোনরকম ময়লা জমেছে বলে ব্যথা হচ্ছে। কিন্ত ভুল ভাঙল একদিন রাতে। ওই দিন রাতে যুবকের কানের ব্যথার পরিমান এতটাই বেড়ে যায় যে সে ব্যথ্যায় কাতরাতে থাকে।
তার মাথা ছিরে যাওয়ার মতো যন্ত্রণা 'হতে থাকে। তখন তার পরিবারের লোকজন তার কানের ভিতরে টর্চের আলো ফেলে দেখে একটি বড়ো আরশোলা ঘুরে বেড়াচ্ছে। এক মুহূর্ত বিলম্ব না করে সাথে সাথে তাকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
চিকিৎসকরা তাকে সাথে সাথে ভর্তি করে নেন, নানারকম পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষা করার পর চিকিৎসকরা একরকম 'হতবাক হয়ে যান। তারা দেখেন ওই যুবকের কানে একটা দুটো নয় পুরো একটা আরশোলার পরিবার বাসা বেধেছে। সেই অনুযায়ী ডাক্তাররা চিকিৎসা শুরু করেন।
ওই হাসপাতালের এক বিশেষজ্ঞ ডাক্তার বলেন ওই যুবক অসহনশীল ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে আসেন এবং তাকে পরীক্ষা করার পর তার কান থেকে একটি একটি করে মোট ১০ টি আরশোলা বের করা হয়। ওই আরশোলা গু'লো কানের মধ্যে ঘোরাঘুরি করছিল বলেই ব্যথা হচ্ছিল।
তবে সকলেই 'হতবাক কানের মধ্যে কিভাবে আরশোলা প্রবেশ করেছিল। যদিও চিকিৎসকরা এই ব্যাপারে কোনো উত্তর দিতে পারেননি। তবে সেখানকার এক স্থানীয় ডাক্তার সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন ওই যুবক শোবার সময় খাবারের প্যাকেট সাথে করে নিয়ে শুতো। রাত্রিবেলা খাবারের সন্ধানে এসে আরশোলা গু'লো কোনোভাবে তার কানের মধ্যে ঢুকে যায় বলে আশঙ্কা করা হয়েছে।
Leave a Reply