যুক্তরাজ্যের না’রী ও সমতা বি’ষয়ক ছায়ামন্ত্রী নাজ শাহ বলেছেন, একজন ব্রিটিশ মু’সলিম না’রী হিসেবে নিজের পায়ে দাঁড়াতে যে ব্যক্তি আমাকে সবচেয়ে বেশি অনুপ্রেরণা ও উৎসাহ দিয়েছেন এবং আমাকে ক্ষ’মতায়ন করেছেন তিনি হলেন হযরত মুহা'ম্ম’দ (সা.)।
নাজ শাহ ব্রিটিশ লেবার পার্টির একজন রাজনীতিবিদ ও ব্র্যাডফোর্ড ওয়েস্টের এমপি। আন্তর্জাতিক না’রী দিবসের এক আলোচনায় অংশ নিয়ে হাউস অব কমন্সে এ মন্তব্য করেন এই ব্রিটিশ এমপি।
১৯৩৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট হযরত মুহা'ম্ম’দ (সা.)-কে বিশ্বের সেরা বিধানদাতাদের একজন আখ্যা দেয়। এমপি নাজ শাহ এ বি’ষয়টিও তার বক্তব্যে টেনে আনেন। তিনি বলেন, হযরত মুহা'ম্ম’দই একমাত্র ব্যক্তি যার কাছ থেকে আমি অনুপ্রেরণা পেয়েছি।
ব্র্যাডফোর্ড ওয়েস্ট থেকে নির্বাচিত এই এমপি বলেন, ‘তিনি (হযরত মুহা'ম্ম’দ) এমন একটা সময় পৃথিবীতে এসেছিলেন, যখন না’রীদের সবচেয়ে গু'রুত্বপূর্ণ অধিকার থেকে বঞ্চিত করা 'হতো।
সময়ের পরিক্রমায় পরবর্তীতে তিনি এমন একটি সমাজ উপহার দেন, সেখানে শোষিত, বঞ্চিত ও হ’ত্যাকাণ্ডের শি’কার (শি’শুস’ন্তান মে’য়ে হলে জীবন্ত পুঁতে ফেলা 'হতো) না’রীরা শুধু তাদের বেঁচে থাকার অধিকারই পায়নি; সম্পত্তি, বিবাহ, উত্তরাধিকার, ভোট প্রদান, সম্মান, মর'্যাদা এবং স্বাধীনতা-সবই পেয়েছে।’
মহানবী হযরত মুহা'ম্ম’দ (সা.)-এর পাশাপাশি এক ডজন না’রীকেও কৃতজ্ঞাচিত্তে স্মর'ণ করেন হাউস অব কমন্সে প্রতিনিধিত্বকারী নাজ শাহ। তিনি বলেন, মেরি ওলস্টোনক্র্যাফ্ট (ইংরেজ লেখক ও দার্শনিক), এমেলিন পানখুর্স্ট (ইংরেজ রাজনীতিবিদ), রোজা পার্ক (অধিকার কর্মী),
বেনজির ভুট্টো (পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী) , অ'পরাহ উইনফ্রে (অ'ভিনেত্রী ও উপস্থাপিকা)-এরা শুধু সমাজে সমতা প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই করেননি; অনুপ্রেরণা ও উৎসাহ দিয়েছন। এখানেই শেষ নয়, না’রীদের পাশাপাশি পুরু’ষরাও তাদের দেখে অনুপ্রা’ণিত হচ্ছেন।
১৮৫৭ সালের ৮ মা'র্চ মজুরি-বৈষম্য, কর্মঘণ্টা নির্ধারণ এবং কর্মক্ষেত্রে বৈরী পরিবেশের প্র’তিবাদ করেন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের সুতা কারখানার একদল শ্রমজীবী না’রী। এতে ক্ষি’'প্ত হয়ে তাদের ও’পর দ’মন-পীড়ন চা’লায় মালিকপক্ষ।
নানা ঘ’টনার পর ১৯০৮ সালে জার্মান সমাজতান্ত্রিক নেত্রী ও রাজনীতিবিদ ক্লারা জেটকিনের নেতৃত্বে প্রথম না’রী সম্মেলন করা হয়। এরই ধা'রাবাহিকতায় ১৯৭৫ সাল থেকে জাতিসং'ঘ দিনটি না’রী দিবস হিসেবে পালন করছে।
সূত্র : জিও টিভি
Leave a Reply