সারাবিশ্বে বর্তমান আত'ঙ্কের নাম এখন করো'নাভাইরাস। নভেল করো'নাভাইরাস বা কোভিড-১৯ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে। আর প্রতিদিন প্রাণ হারাচ্ছেন অসংখ্য মানুষ। প্রাণঘা'তী এই ভাইরাসে বিশ্বব্যাপী প্রাণহানির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ৭৪ হাজার ৭৮০ জনে। আ'ক্রা'ন্তের সংখ্যা পৌঁছেছে ৯২ লাখ ৯ হাজার ৫৭৮ জনে। ৫০ বছরের বেশি বয়সী পুরুষদের মাঝে করো'নার মৃ'ত্যু ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি। এ ছাড়া যাদের ডায়াবেটিস ও উচ্চ র'ক্তচাপের সমস্যা রয়েছে, তারা আছেন সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে।
ক্রিটিক্যাল কেয়ার স্পেশালিস্ট অরিন্দম কর বলেন, অত্যন্ত ছোঁয়াচে বলে এই রোগে মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়ছেন। যারা দীর্ঘদিন ধরে উচ্চ র'ক্তচাপ ও ডায়াবেটিসে ভুগছেন, তাদের জন্য কোভিড-১৯ মা'রাত্মক হয়ে ওঠার সম্ভাবনা প্রবল। বিশেষ করে রোগীর বয়স যদি ৬৫ বছরের বেশি হয় এবং তিনি যদি ধূমপায়ী হন, তা হলে সংক্রমণ মা'রাত্মক হয়ে জীবনঝুঁকি 'হতে পারে। সম্প্রতি ‘ল্যানসেট’ নামক এক মেডিকেল জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রে জানা গেছে, ৬৯ উত্তীর্ণ পুরুষ যারা ধূমপায়ী এবং অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস ও উচ্চ র'ক্তচাপের রোগী, তাদের নভেল করো'নাভাইরাসের সংক্রমণে ও মৃ'ত্যুহার সব থেকে বেশি।
অনুসন্ধান আরও জানা গেছে, কোভিড-১৯-এর সংক্রমণে মৃ'তদের শরীরে ভাইরাস থেকে যায় আমৃ'ত্যু। আর এ কারণেই চিকিৎসাবিজ্ঞানীরা বিশেষ সতর্কতা নেয়ার পরামর'্শ দিচ্ছেন। আসলে কোভিড -১৯ ভাইরাস অত্যন্ত ছোঁয়াচে, যা হাঁচি, কাশি, লালা ও সর্দির সাহায্যে বাতাসবাহিত হয়ে ছড়িয়ে পড়ে। আ'ক্রা'ন্তের ৬ ফিটের মধ্যে থাকলে সুস্থ মানুষের আ'ক্রা'ন্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে।
বিশেষ করে আ'ক্রা'ন্ত মানুষটির হাঁচি, কাশি, নাক ঝাড়া থেকে। তিনি নাকে মুখে হাত দিয়ে সুস্থ মানুষের সংস্পর্শে এলে অন্যজনের শরীরে এই ভাইরাস দ্রুত বংশ বিস্তার করে। করো'না যেভাবে আ'ক্রা'ন্ত করে শ্বা'সনালি ক্ষ'তিগ্রস্ত হওয়ার স'ঙ্গে স'ঙ্গে এই কোভিড-১৯ ভাইরাসটি ফুসফুস ও ক্ষুদ্রান্ত্রকেও অ্যাটাক করে লাইনিং নষ্ট করে দেয়। এর পর একে একে অন্যান্য অ'ঙ্গ-প্রত্য'ঙ্গের কাজ করার ক্ষমতাও কমে যায়।
Leave a Reply