চীন থেকেই সূ’চনা হয়েছিল প্রাণঘা’তী করো'না ভাই’রাসের। বর্তমানে এই ভাইরাস বিশ্বের ২১৩টি দেশ ও অঞ্চলে একযোগে ধ্বং’সয’জ্ঞে চালাচ্ছে। প্রতি মুহূর্তে সং’ক্র’মিত করার পাশাপাশি কে’ড়ে নিচ্ছে বহু সংখ্যক মানুষের প্রাণ। তবে যে চীন থেকে করো'নার প্রাদু’র্ভাব শুরু হয়েছিল, সেই চীন থেকেই শুরু হল এই ভ্যাকসিনের প্রয়োগ।
ট্রা’য়াল পুরোপুরি শেষ হওয়ার আগেই করো'নার ভ্যাকসিন প্রয়োগ শুরু করেছে চীন। ব্লুমবার্গ জানিয়েছে, বেইজিং শহরের কিছু সরকারি কর্মকর্তা এবং যারা রাষ্ট্রীয় কাজে বিদেশে যাওয়া-আসা করছেন তাদের ভ্যাকসিন গ্রহণের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। ট্রা’য়াল শেষ হওয়ার আগেই চীন ভ্যাকসিন কার্যক্রম শুরু করতে পারে, সেটি জানা যায় মে মাসের শেষ দিকে।
ওই সময় সাউথ চায়না মর'্নিং পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়, কাদের ভ্যা’কসিন দেওয়া হবে সে বি'ষয়ে চীনের জাতীয় টিকাদান কর্মসূচী থেকে একটি গাইডলাইন তৈরি করা হচ্ছে। গত ডিসেম্বরে চীনের উহান শহর থেকে নতুন এই ভাইরাসটি গোটা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়ে। এরপর চীনসহ অনেক দেশ ভ্যাকসিন আবি'ষ্কারের ল’ড়া’ইয়ে নামে। চীনে এখন সং’ক্র’মণ কমে যাওয়ায় তৃতীয় ধাপের ট্রায়াল নিয়ে সম’স্যা দেখা দিয়েছে।
চীনে এখন পর্যন্ত পাঁচটি ভ্যাকসিন হিউম্যান ট্রায়ালের পর্যায়ে আছে। এর মধ্যে অন্তত দুটি প্রথম দুই ধা’পের ট্রায়ালে ‘সাফল্য’ পেয়েছে। ভ্যাকসিনের ট্রায়ালে সাধারণত তিনটি ধাপ থাকে। চীন জানিয়েছে, তাদের দেশে সং’ক্র’মণ কমে আসায় ব্রাজিলে চূড়ান্ত ধাপের ট্রা’য়াল চালানো হবে। এর ভেতর বেইজিংয়ে সং’ক্র’মণ বাড়তে থাকায় সেখানকার স্বাস্থ্যকর্মীদের ভ্যাকসিন দেওয়ার সি'দ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বিশ্বখ্যাত সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ জানিয়েছে, চীনের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের যেসব কর্মকর্তা বেইজিংয়ে কাজ করছেন প্রায় দুই স'প্তাহ আগে তাদের ভ্যাকসিন দেওয়ার সি'দ্ধান্ত নেওয়া হয়। যে কর্মকর্তারা এই মুহূর্তে বিদেশে আসা-যাওয়া করছেন, প্রথমে শুধুমাত্র তাদের চায়না ন্যাশনাল বায়োটেক গ্রুপ বা সিএনবিজি’র ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছিল।
পরে পরি’ধি বাড়িয়ে বেইজিংয়ের বিভিন্ন জে'লার কর্মকর্তাদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ট্রায়ালের বাইরে আগেভাগে ভ্যাকসিন প্রয়োগের এই খবরের বি'ষয়ে মুখ খোলেননি চীনের কর্মকর্তারা। ব্লুমবার্গ তাদের স'ঙ্গে যোগাযোগ করলে কেউ মন্তব্য করতে রাজি হননি।
Leave a Reply