আমি কখনো বলিনি যে পাকিস্তানকে এশিয়ার বাঘ বানিয়ে দেব। আমি বলে এসেছি– ম'দিনা শরিফের আদর্শ অনুসরণ করে পাকিস্তানকে একটি মহৎ রাষ্ট্রে পরিণত করে দেব বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী ইমর'ান খান। সরকারের অবহেলার কারণেই পাকিস্তানে চিনি ও ময়দার সংকট তৈরি হয়েছে বলে স্বীকার করেছেন তিনি।
গভর্নর হাউসে সেহাত ইনসাফ কার্ড বিতরণ অনুষ্ঠানে শনিবার দেয়া বক্তৃতায় তিনি আরও বলেন, এই গম সংকট থেকে কারা' লাভবান হয়েছেন, তাও তিনি জানেন। কাজেই ভবি'ষ্যতে কোনো পণ্যের ঘা’টতি তৈরি হলে তা জানতে সরকার একটি ব্যবস্থা দাঁড় করিয়েছে।
মায়ো হাসপাতালের ক্যান্সারের রোগীদের চেহারা ভুলতে না পারার কষ্ট থেকেই তিনি শওকত খানম হাসপাতালটি প্রতিষ্ঠা করেছেন বলেও জানান। এসময় নির্বাচনে তার দল পি'টিআইয়ের ব্যাপক বিজয়ের নেপথ্য কারণও বলেন তিনি।
ইমর'ান খান বলেন, স্বাস্থ্য কার্ড ব্যবস্থার কারণেই আমর'া দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় আসতে পেরেছি। সাবেক এই ক্রিকেট তারকা বলেন, প্রথম তিন থেকে চার বছর ম'দিনা রাষ্ট্রে অনেক গণ্ডগোল ছিল।
কাজেই ম'দিনার আদর্শের পথে এগিয়ে যাওয়ার আরেকটি পদ'ক্ষেপ হচ্ছে এই স্বাস্থ্যকার্ড বিতরণ। মজুতদার ও ভেজাল দেয়া মাফিয়াদের বিরু'দ্ধে অ'ভিযান সহজ করতে পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীর স'ঙ্গে তিনি গু'রুত্বপূর্ণ বৈঠক করেছেন।
চীনের সহায়তায় পাকিস্তানেই তৈরি হচ্ছে সাবমেরিন; ভারতের জন্য হু’মকি
গোয়াদার বন্দরকে আরো সুরক্ষিত করতে নৌবাহিনীকে শক্তিশালী করছে পাকিস্তান। নতুন সাবমেরিন সংগ্রহ ও হাতে থাকা সাবমেরিনগু'লো উন্নত করতে সম্প্রতি দেশটি তুরস্ক ও চীনের স'ঙ্গে চুক্তি করেছে।
পাকিস্তান আট'টি হা'ঙ্গর (টাইপ০৪২ উয়ান-ক্লাস) সাবমেরিন সংগ্রহের জন্য ২০১৫ সালে চীনের স'ঙ্গে চুক্তি করে। এর মধ্যে চারটি প্রযুক্তি স্থানান্তরের মাধ্যমে করাচি শিপেইয়ার্ডে তৈরি হবে।
এর পরের বছর পাকিস্তান তার কাছে থাকা আগস্টা ৯০বি সাবমেরিন উন্নত করার জন্য একটি তুর্কি প্রতিষ্ঠানের স'ঙ্গে ৩৫০ মিলিয়ন ডলারের চুক্তি করে। এই প্রকল্পের আওতায় এসটিএম পাকিস্তান নৌবাহিনীর কাছে ডিজাইন ও ইঞ্জিনিয়ারিং পরিষেবা র'প্তানি করবে।
চীন ও তুরস্কের স'ঙ্গে সাবমেরিন চুক্তিগু'লো পাকিস্তান নৌবাহিনীর শক্তি অনেক বাড়িয়ে দেবে। সে এখন তার নৌবাহিনীর জন্য নতুন মিডগেট সাবমেরিন তৈরি করছে। পাকিস্তানের স্পেশাল সার্ভিস গ্রুপ (নেভি) ১৯৯০’র দশক থেকেই প্রকাশ্য ও গো'পন অ'ভিযান পরিচালনার কাজে কসমস এমজি১১০ মিডগেট সাবমেরিন ব্যবহার করে আসছে। তবে এগু'লো পুরনো হয়ে যাওয়ায় নতুন সাবমেরিন তৈরির প্রস্তাব করা হয়েছে।
পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা উৎপাদন মন্ত্রণালয়ের ইয়ারবুক আগেই নিশ্চিত করেছিলো যে এবার মিডগেট সাবমেরিনগু'লো দেশীয়ভাবেই তৈরি করা হবে। সাম্প্রতিক এক স্যাটেলাইট ছবিতেও তেমন আভাস পাওয়া গেছে।
২০১৬ সালের ছবিতে একটি সাবমেরিনকে তাবু দিয়ে আড়াল করে রাখতে দেয়া যায়। ২০১৯ সালের ছবিতে দেখা গেছে তাবুটি সরিয়ে নেয়া হয়েছে। এতে বুঝা যায় নতুন মিডগেট সাবমেরিনের নির্মাণ শেষ পর্যায়ে রয়েছে এবং এটি সম্ভবত সি ট্রায়ালের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে।
ছোট আকারের এই সাবমেরিন যু'দ্ধের সময় আরব সাগরে মোতায়েন করা হবে বলে জল্পনাও শুরু হয়ে গেছে।
স্যাটেলাইট ছবিতে দেখা সাবমেরিনটি মাত্র ৫৫ ফুট লম্বা এবং এর বিম মাত্র ৮ ফুট। তবে ডিসপ্লেসমেন্ট ক্ষমতা এখনো জানা যায়নি। এটি এমজি১১০ থেকে ছোট কিন্তু সুইমা'র ডেলিভারি ভেহিকেল (এসডিভি) থেকে বড়। আয়তন ও সাধারণ ধরনের হাল নির্মাণ দেখে বুঝা যায় এগু'লো সহজেই পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ করা যাব'ে। আকারের কারণে স্থলপথেও এগু'লো বহন করে নেয়া যাব'ে।
পাকিস্তান অনেক বছর ধরেই মিডগেট সাবমেরিন ব্যবহার করে আসছে। নতুন সাবমেরিন তার নিজস্ব নির্মাণ সক্ষমতা জানান দিচ্ছে মাত্র। এর মাধ্যমে তারা যে পানির নিচে যু'দ্ধের জন্যও প্রস্তুত হচ্ছে সেটাও বুঝা যায়।
Leave a Reply