শুক্রবার (১ এপ্রিল) আ'দালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানব'ন্দি দিয়েছেন তারা। জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আ'দালতের বিচারক মাহাদী হাসান তাদের জবানব'ন্দি গ্রহণ শেষে কারা'গারে পাঠানোর আদেশ দেন।
আ'সামিরা হলেন- মণিরামপুর উপজে'লার ভরতপুর গ্রামের হোসেন মোড়লের ছেলে আমিনুর রহমান ও কামর'ুল ইসলাম।
মা'মলার ত'দন্ত কর্মকর্তা পু'লিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) এসআই সৈয়দ রবিউল ইসলাম পলা'শ জানান, আট'ক কামর'ুলের স্ত্রীর স'ঙ্গে কলেজছাত্র একরামুলের প'রকীয়া ছিল।
কামর'ুল কুয়েত প্রবাসী। পাঁচ মাস আগে তিনি দেশে ফিরে এসেছেন। বাড়িতে আসার পর তিনি স্ত্রীর প'রকীয়ার কথা জানতে পারেন। কামর'ুলের ভাই আমিনুরও ভাবির স'ঙ্গে একরামুলের প'রকীয়ায় ক্ষি'প্ত হয়ে ওঠেন।
পরিবারের মানসম্মান রক্ষার্থে গো'পনে একরামুলের স'ঙ্গে দেখা করে এ পথ থেকে সরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করেন আমিনুর। তখন একরামুল উল্টো আমিনুরকে হু’মকি দেন।
তাদের সম্পর্কের ধারণকৃত ভিডিও তার মোবাইল ফোনে আছে বলেও দাবি করেন। এ নিয়ে বাড়াবাড়ি না করার জন্য আমিনুরকে নিষে'ধ করে একরামুল।
ফলে কোনো উপায় না পেয়ে একরামুলের কাছ থেকে মোবাইল ফোন সেট নিয়ে ওই আপ'ত্তিকর ভিডিও ডিলিট করে দেওয়ার পরিকল্পনা করেন আমিনুর।
মা'মলার ত'দন্ত কর্মকর্তা জানান, এরপর ঘটনার দিন গত ২৮ মা'র্চ সন্ধ্যায় আমিনুর তার ভাইপো মেহেদীর কাছ থেকে জানতে পারেন, একরামুল নোয়ালী গ্রামের কাড়াখালি ব্রিজের ওপর অবস্থান করছেন।
এ খবর পেয়ে তিনি গো'পনে সেখানে গিয়ে তাকে দেখতে পান। সেখান থেকে বাড়ি ফিরে আসেন এবং একটি বৈদ্যুতিক তার নিয়ে ফের ফিরে যান।
কোনোকিছু বুঝে ওঠার আগেই পেছন থেকে গলায় বৈদ্যুতিক তার পেঁচিয়ে একরামুলের কাছে থাকা মোবাইল ফোনসেট দিতে বলেন আমিনুর। বৈদ্যুতিক তার গলায় পেঁচানোর কারণে শ্বা'সরোধে মা'রা যান একরামুল।
তার শরীর নিস্তেজ হয়ে পড়ায় ভয় পেয়ে যান আমিনুর। পরে লা'শটি ব্রিজের পাশে রেখে বাড়িতে চলে আসেন তিনি এবং সব ঘটনা ভাই কামর'ুলকে জানান।
এ কথা শুনে কামর'ুল ভয় পেয়ে তাকে প্রচণ্ড বকাঝকা করেন। পরে দুই ভাই ঘটনাস্থলে যান এবং লা'শ বস্তাবন্দী করে মোটরসাইকেলে উঠিয়ে পাশের ম'দনপুর গ্রামের জনৈক লিয়াকত আলীর পুকুর পাড়ে পুঁতে রাখেন।
তিনি আরও জানান, ঘটনার স'ঙ্গে জড়িত দুই ভাই ও তাদের ভাইপো মেহেদীকে গত বৃহস্পতিবার সকালে আট'ক করা হয়। শুক্রবার তাদের আ'দালতে সোপর্দ করা হলে আমিনুর ও কামর'ুল স্বীকারোক্তিমূলক জবানব'ন্দি দেন।
নি'হত একরামুল ভরতপুর গ্রামের মফিজুর মোল্লার ছেলে। গত ২৮ মা'র্চ রাতে তিনি নিখোঁজ হন। এ ঘটনায় একরামুলের মা রেশমা খাতুন ৩০ মা'র্চ মণিরামপুর থানায় একটি জিডি করেন।
এই জিডির সূত্র ধরে পিবিআই কর্মকর্তারা গত বৃহস্পতিবার সকালে বিভিন্ন তথ্যের ভিত্তিতে আমিনুরকে আট'ক করেন।
পরে তার স্বীকারোক্তিতে ম'দনপুর গ্রামের লিয়াকত আলীর পুকুর পাড়ে মাটিচাপা দিয়ে রাখা একরামুলের বস্তাবন্দী লা'শ উ'দ্ধার করা হয়।
Leave a Reply