কন্ডোম বিক্রি করছে নায়িকা। আর তাকে কেন্দ্র করেই যাব'তীয় ঘটনার ঘনঘটা। সিনেমা'র কয়েক জায়গায় কৌতুকের চেষ্টা, কিছুটা নাটকীয়তা আর কয়েকটি গানের নায়ক-নায়িকার রোম্যান্স। চেনা এই ছকের বাইরে বের 'হতে পারল না নুসরত ভারুচা অ'ভিনীত ‘জনহিত মে জারি’ (Janhit Mein Jaari)।
Janhit Mein Jaari
ছবির পরিচালক জয় বসন্তু সিং। কিন্তু এ ছবির নেপথ্যে রয়েছেন রাজ শান্ডিল্য। তিনিই ছবির অন্যতম প্রযোজক এবং চিত্রনাট্যকার। এর আগে আয়ুষ্মান খুরানাকে নিয়ে
‘ড্রিম গার্ল’ সিনেমাটি তৈরি করেছিলেন রাজ। ‘জনহিত মে জারি’ দেখে যেন সেই সিনেমা'র ‘দেজা ভ্যু’ হল। সেই অনুভূ'তি যখন মনে হয় বি'ষয়বস্তুটি যেন আগেও দেখেছি।
‘ড্রিম গার্ল’ সিনেমায় যেন নায়ক লুকিয়ে কাজ করত। পরে তাঁর সত্যিটা সকলে জানতে পারায় সমস্যার সৃষ্টি হয়। ‘জনহিত মে জারি’ সিনেমা'র ক্ষেত্রেও সেই একই ঘটনা ঘটে।
Janhit-Mein-Jaari-1
[আরও পড়ুন: ফের ‘মসিহা’ সোনু, চার হাত-চার পা নিয়ে জন্মানো শিশুকন্যাকে সুস্থ জীবনে ফেরালেন তারকা]
ছবিতে মনোকামনা ওরফে
মন্নুর ভূমিকায় অ'ভিনয় করেছেন নুসরত ভারুচা (Nushrat Bharucha)। একটি কোম্পানিতে কন্ডোম বিক্রি করার চাকরি পায় সে। ইচ্ছে না থাকলেও এ চাকরি তাকে
নিতে হয় নাহলে বাড়ি থেকে বিয়ে দিয়ে দেবে যে! মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ে প্রথম চাকরিতেই চল্লিশ হাজার টাকা মাইনে পায়। সে যাই হোক, পেতেই পারে। চাকরির স'ঙ্গে স'ঙ্গে স্বামীও জুটে যায়। তারপরই শুরু হয় সমস্যা। বউমা কন্ডোম বিক্রি করে, তা কি কোনও শ্বশুরবাড়ি মেনে নিতে পারে?
Janhit-Mein-Jaari-2
নুসরত একা প্রচুর চেষ্টা করেছেন। বিজয় রাজ, পরিতোষ ত্রিপাঠি, ব্রীজেন্দ্র কালা, টিনু আনন্দের মতো অ'ভিনেতা রয়েছেন ছবিতে। কিন্তু কারও প্রতিভার সদ্ব্যবহার করতে পারলেন না পরিচালক জয়।
বিরতির আগে সিনেমায় কৌতুক প্রাধান্য পেয়েছে, বিরতের পরে তা ছিল শুধুই শ্বশুর ও বউমা'র ‘কাহানি ঘর ঘর কি’। ছবিতে নুসরতের স্বামী রঞ্জনের ভূমিকায় অ'ভিনয় করেছেন অনুদ সিং ঢাকা।
এর আগে ‘ছিছোরে’, ‘সুপার ৩০’র মতো সিনেমায় খুবই ছোট চরিত্রে অ'ভিনয় করেছেন তিনি। এ ছবি তাঁর কাছে বড় সুযোগ ছিল। কিন্তু সেই সুযোগ তিনি সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারেননি।
Janhit-Mein-Jaari-3
টিনু আনন্দ শুধুই বাড়ির বয়স্ক সদস্য হয়ে রয়ে গিয়েছেন। বিজয় রাজ ভাল অ'ভিনেতা, কিন্তু তিনি আর কতটা করতে পারেন চিত্রনাট্য দুর্বল হলে। পরিতোষ ত্রিপাঠির দেবী চরিত্রের মন্নুর পিছনে ঘোরা ছাড়া আর কী কাজ ছিল বোঝা গেল না। গানগু'লিও তেমন মন কাড়ে না। সবশেষে একটিই কথা বলা যায়, জনগণের হিতের কথা ভেবে সিনেমা তৈরি করা যেতেই পারে। তবে আম জনতার বিনোদন ও পরিবেশনার নতুনত্বের কথাটিও মাথায় রাখতে হয়। না হলে এমন ভরাডুবি অবধারিত।
Leave a Reply