মানুষ যে কেন বিদেশ বিদেশ করে, সত্যিই বুঝতে পারি না। আমা'দের দেশের কত জায়গাই তো স্বপ্নের মতো! এ কথাটা বরাবরই বিশ্বা'স করতাম।
তবে হিমাচলে না গেলে আমা'র বিশ্বা'সটাই যে সত্যি, তা বোধহয় ঘুণাক্ষরেও টের পেতাম না। উঁচু উঁচু পাহাড়। পাথর কে'টে কে'টে তৈরি হয়েছে রাস্তা। মাঝেমাঝে ছোট ছোট মিষ্টি ক্যাফে। পাহাড় আমা'র বড় প্রিয়। হিমাচলে গিয়ে সেই ভালবাসা আমা'র আরও বেড়ে গেল।
মোট ১০ দিনের সফর। প্রথমে শিমলা, সেখান থেকে সাংলা, মানালি, কসোল। এই নিয়ে শোভন আর আমা'র একস'ঙ্গে বেশ অনেকগু'লো বেড়ানো হয়ে গেল।
সমমনস্ক বলে আরও বেশিই ভাল লাগে একে অ'পরের স'ঙ্গে। তা বলে আমা'দের কিন্তু ওই রকম মাখো মাখো প্রেম নয়। সারা ক্ষণ একস'ঙ্গে থাকতে হবে, কথা বলতে হবে।
একস'ঙ্গে বেড়াতে যাই, কিন্তু নিজেদের মতো করে সময়ও কা'টাই। কখনও একা হাঁটতে বেরিয়ে পড়ি। কখনও শোভন হয়তো ডুবে থাকে নিজের গানে। আমা'র কাছে ঘোরাঘুরি, নতুন জায়গা দেখার বি'ষয়টা এতটাই গু'রুত্বপূর্ণ যে, হোটেল-রেস্তরাঁ কেমন তা নিয়ে মাথাব্যথা থাকেই না।
হাতে ছবি-সিরিজের মেলা, তবু শিগগিরই ধা'রাবাহিকেই ফিরতে চান স্বস্তিকা
আরও পড়ুন
কখনও ব্রালেট, কখনও মনোকিনি! খোলামেলা সাজে উষ্ণ স্বস্তিকা
তবে হ্যাঁ, বাথরুম নিয়ে আমি একটু খুঁতখুঁতে। শোভন তো তা-ও নয়! আমা'র এত ঘোরাঘুরির ছবি দেখে অনেকেই ভাবতে পারেন, হয়তো একটুও টাকা জমাই না।
সেটা কিন্তু ভুল, যতটা সম্ভব পারি টাকা জমাই। এই পুজোতে যেমন শোভন থাকবে বিদেশে। জুলাইতেই চলে যাব'ে কলকাতা ছেড়ে। তাই আগেই ঘুরে এলাম দু’জনে।
নিজেদের মতো একটু সময় কা'টাব বলে। খাওয়াদাওয়া নিয়ে শোভন বা আমা'র কোনও শৌখিনতা নেই তেমন। যেখানে যেমন খাবার পাই, তাতেই দিব্যি চলে যায়।
আমা'র ব্যক্তিগত ভাবে কসোল খুব একটা মনে ধরেনি। ওখানে বন্ধুরা দল বেঁধে গেলেই বেশি ভাল লাগবে। বরং মানালি আমা'র দারুণ লেগেছে। তবে এই প্রথম একস'ঙ্গে এতগু'লো জায়গায় গেলাম। প্রকৃতির অ'পার সৌন্দর্য। এত নিরিবিলি, নিস্তব্ধ। এ এক অন্য রকম শান্তি। মানালিতে পাহাড়ের কোলে ছোট্ট ছোট্ট ক্যাফেগু'লোও দুর্দান্ত। পাহাড়ে ঘুরতে চেয়েছিলাম। শোভন স'ঙ্গে আসাতে যেন ষোলোকলা পূর্ণ!
Leave a Reply