মাধুরী দীক্ষিত যার এক হাসিতে আজও ঘায়েল ভক্তহৃদয়।
সেই মাধুরীর প্রেমে হাবুডুবু অনুরাগীর তালিকায় শামিল ছিলেন দীপিকার বাবা প্রকাশ পাড়ুকোনও!
সে কথা ফাঁ'স করেন সাবেক ব্যাডমিন্টন-তারকার অ'ভিনেত্রী কন্যা দীপিকা পাড়ুকোন স্বয়ং!
১৯৯৯ সালে হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা: শ্রীরাম নেনের গলায় মালা দিলেন মাধুরী। সে খবর যে কত জনের যে হৃদয় ভেঙেছিল,
তার হিসাব নেই। মাধুরীর বিয়ের খবর শুনে হাউহাউ করে কেঁদেছিলেন দীপিকার বাবা।
মাধুরীর বিয়ের খবরে স্নানঘরে ঢুকে হাউ হাউ করে কেঁদেছিলেন প্রকাশ। তা নিয়ে এখনও ঠাট্টায় মাতে গোটা পরিবার।
২০১৬ সালে এক সাক্ষাৎকারে মাধুরীর মুখোমুখি হয়েছিলেন দীপিকা। বাবার কান্নাকাটির গল্পটা হাসতে হাসতে দীপিকাই বলেছিলেন তাকে।
দীপিকা জানান, মাধুরীর বিয়ের খবর যে দিন প্রকাশ্যে এলো, বাবা সকালের কাগজ পড়া থামিয়ে স্নানঘরে ঢুকে গিয়েছিলেন দ্রুত।
দীপিকা বলেন, বেশ কিছু ক্ষণ পার হয়ে যেতে তারা দরজায় ধাক্কা দিতে শুরু করেন। বাবা বেরিয়েছিলেন এক সময়ে। কেঁদে কেঁদে চোখ লাল।
সেই দেখে দীপিকার মা নাকি অবাক হয়ে বলেছিলেন, ‘‘চোখ তো ফুলে ঢোল! ভিতরে বসে কাঁদছিলে নাকি?
দীপিকা মাধুরীকে বলেন, ‘‘তোমা'র প্রেমে পাগল ছিল বাবা। সারা দিন নিজের রুটিনে বুঁদ হয়ে চললেও তুমিই ছিলে বাবার অনুপ্রেরণা।
যদিও সে কথা জানতে পেরেছি অনেক পরে।’’ সব শুনে মাধুরীর গাল ল'জ্জায় রাঙা। কী বলবেন, হাসবেন না কাঁদবেন, তা নাকি বুঝেই উঠতে পারছিলেন না!
গত ১০ জুন ৬৭ বছরে পা দিয়েছেন প্রকাশ। মাধুরীর প্রতি তার ভালবাসা কি এখনও একই রকম? সে খবর অবশ্য মেলেনি! উল্লেখ্য, প্রকাশ পাডুকোন ছিলেন ভারতীয় ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড়। তিনি ১৯৭২ সালে অর্জুন পুরস্কার এবং ১৯৮২ সালে ভারত সরকার কর্তৃক পদ্মশ্রী সন্মানে ভূষিত হন। সূত্র: এবিপি
Leave a Reply