গ্রীষ্মকালকে বলা হয় মধু মাস। এসময় আম, কাঁঠাল, লিচুসহ নানা দেশীয় ফলে বাজার থাকে সয়লাব। আম পছন্দ করেন না এমন কেউ আছেন বলে মনে হয় না। হিমসাগর, ল্যাংড়া, আম্রপালি, হাঁড়িভাঙা, ফজলিসহ নানা জাতের আম রয়েছে। একেক জাতের আমের একেক স্বাদ। তবে খুব বেশি দিন পাওয়া যায় না।
তাই সারাবছর এই আম সংরক্ষণ করতে পারেন। তবে কিনে আনার পর দুই দিন পরই দেখা যায় আম পচে গেছে। আমের স্বাদ, গন্ধ ও পুষ্টিমান অটুট রেখে ১০-১৫ দিন পর্যন্ত সংরক্ষণ করা যায়। জেনে নিন আম সংরক্ষণের উপায়-
> সংরক্ষণের জন্য পরিপক্ব আম বেছে নিতে হবে। একটু শক্ত থাক্তেই আম সংরক্ষণ করতে হবে। মাপমতো খবরের কাগজ কে'টে প্রতিটি আম আলাদাভাবে মুড়িয়ে নিয়ে বড় পলিব্যাগে ভরে ফ্রিজের নরমাল চেম্বারে রাখু'ন। এভাবে এক মাসেও আম ভালো থাকবে। তবে সে ক্ষেত্রে ১০ দিন পরপর খুলে দেখে নিন। আবার কাগজ বদলে দিতে হবে।
> দীর্ঘদিন ডিপ ফ্রিজে আম সংরক্ষণ করার জন্য প্রথমে ভালো পাকা আম বেছে নিন। খোসা ছাড়িয়ে নিয়ে ছোট ছোট করে কে'টে জিপলক ব্যাগে রাখু'ন। মুখ বন্ধ করে ব্যাগটি ডিপে রাখু'ন। খাবার কিছুক্ষণ আগে ডিপ থেকে জিপলক ব্যাগ বের করে রাখু'ন। এভাবে ছয় থেকে আট' মাস পর্যন্ত আম সংরক্ষণ করা যায়।
> আস্ত আম বেশি দিন সংরক্ষণ করতে চাইলে খবরের কাগজে মুড়ে নিয়ে সব আম একটি কাপড়ের ব্যাগে ভরুন। কাপড়ের ব্যাগের মুখ ভালো করে আট'কে সেটিকে আবার একটি বড় পলিথিনে মুড়ে ডিপ ফ্রিজে রাখু'ন। এভাবে আম চার থেকে ছয় মাস পর্যন্ত রাখা যায়।
> পাকা আম কে'টে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে আইসবক্স কিংবা ছোট পাত্রে আমের পাল্প দিয়ে ডিপ ফ্রিজে রেখে জমিয়ে নিন। জমে গেলে জিপলক ব্যাগে ভরে আবার ডিপে রাখু'ন। সারা বছর যে কোনো সময় বের করে স্মুদি, লাচ্ছি বা ডেজার্টেও ব্যবহার করতে পারবেন।
নিচের ভিডিও দেখে আরও বিস্তারিত জেনে নিনঃ
Leave a Reply