বুড়িগ'ঙ্গায় লঞ্চ ডুবির ১৩ ঘণ্টা পর অলৌকিকভাবে বেঁচে যাওয়া সুমন ব্যাপারীকে উ’'দ্ধার করা হয় । গতকাল রাতে তাকে
উ’'দ্ধার করা হয়। আজ ম'ঙ্গলবার সকালে মিটফোর্ড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কীভাবে বেঁচে ছিলেন তিনি তা
জানান গণমাধ্যম কর্মীদের। সুমন ব্যপারী বলেন, পুরো সময় আমা'র মোটামুটি জ্ঞান ছিল। আল্লায় জ্ঞান রাখছে। আমি
আল্লাহরে ডাকতেছিলাম। সূরা হাশর, ফালাক পড়ছি, এরপর সূরা ইয়াসিন পড়ছি। তিনি আরও বলেন, আল্লাহ পাকের
ইচ্ছা ছাড়া কোন উপায় হয় না। আমিতো মনে করি ওখানে ১০ মিনিট ধরে আছি কিন্তু ১৩ ঘণ্টা হয়ে গেছে। আল্লাহ পাক
যাই চায় তাই হয়। আমিতো ওখানে মৃ’ত্যুবরণ করতে পারতাম কিন্তু আল্লাহ পাক জাগায়ে রাখছে।ডুবে যাওয়ার সময় কি
ঘটে এমনসব প্রশ্নের উত্তরে সুমন ব্যপারী বলেন, লঞ্চের ডানে ছিলাম, নিচতলা মেশিন রুমের ডানে ছিলাম। একসাইড
তলাইতেছে ওই সাইডে দৌড় দিছি। সাথে সাথে ওই সাইড তলাইয়া গেছে। একটা রড ধইরা রাখছি ওইডা ছাড়ি নাই।
যেখানে ছিলাম আমি নড়ি নাই, ওইখানেই ছিলাম। দোয়া দুরুদ পড়ছি। আমি ওখানে ওজু করছি। আরেক প্রশ্নের উত্তরে
তিনি বলেন, পানির নিচে প্রথম অবস্থায় পানি খাইছি। কিন্তু প্রস্রাব করার পর পেট ক্লিয়ার হয়ে গেছে। লঞ্চে কত জন
যাত্রী ছিলো এই প্রশ্নের উত্তরে সুমন বলেন, সর্বমোট ৮০ থেকে ৯০ জনের বেশি যাত্রী হবে না। সুমন ব্যাপারী নিজেকে
ফল ব্যাব'সায়ী হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন। বর্তমানে মিটফোর্ড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তার শারীরিক অবস্থা এখন বেশ ভালো।
Leave a Reply