নদীতে ডুবে যাচ্ছে। এমন মুহূর্তেও সন্তানকে ভুলে যাননি মা। স'ঙ্গে থাকা আট' বছরের ছে’লেকে শাড়ির আঁচলে বেঁধে নেন। ভেবেছিলেন নিজে ম’রলেও সন্তান বেঁচে যাব'ে। কিন্তু ভাগ্যের নি’র্মম পরিহাস, মা-ছে’লে দুইজনই ডুবে গেলেন। বলছিলাম বুড়িগ'ঙ্গা নদীতে ম’র্নিং বার্ড লঞ্চডুবির ঘটনার কথা। সোমবার সকালে রাজধানীর শ্যামবাজার এলাকা সংল'গ্ন বুড়িগ'ঙ্গা নদীতে অর্ধশতাধিক যাত্রী নিয়ে ওই লঞ্চটি ডুবে যায়। সবশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ৩২ জনের ম’রদে'হ উ’'দ্ধার করেছে ফা’য়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল ও কোস্ট গার্ড। এর মধ্যে আঁচলে পেঁচানো সন্তানসহ সেই মায়ের ম’রদে'হ উ’'দ্ধার করা হয়।
ওই মায়ের নাম হাসিনা বেগম। আর সন্তানের নাম সিফাত। হাসিনা মুন্সিগঞ্জের ট'ঙ্গিবাড়ি উপজে’লার আব্দুল্লাহপুর গ্রামের আব্দুর রহমানের স্ত্রী’। লঞ্চডুবিতে আব্দুর রহমানও নি’খোঁজ হন। তার ম’রদে'হ এখনো পাওয়া যায়নি।
আব্দুর রহমান ঢাকার জজ কোর্টে কর্ম’রত ছিলেন। স্ত্রী’-সন্তান নিয়ে ঢাকায় থাকলেও করো’নার কারণে কয়েক মাস ধরে গ্রামে ছিলেন। সোমবার সকালে মুন্সিগঞ্জের মীরকাদিম থেকে ম’র্নিং বার্ড লঞ্চে স্ত্রী’-সন্তান নিয়ে ঢাকায় ফিরছিলেন তিনি। কিন্তু বুড়িগ'ঙ্গা নদীতে ময়ূর-২ নামে আরেকটি লঞ্চের ধাক্কায় অর্ধশতাধিক যাত্রী নিয়ে তাদের লঞ্চটি ডুবে যায়। সোমবার দুপুরে স্ত্রী’-সন্তানের ম’রদে'হ উ’'দ্ধার করা হয়। কিন্তু এখনো নি’খোঁজ রয়েছেন আইনজীবী আব্দুর রহমান।
হাসিনা বেগমের ভাই রবিন জানান, তার বোনের শাড়ির আঁচলে পেটের স'ঙ্গে বাঁ’ধা ছিল ভাগনে সিফাত। বিপদ বুঝে হয়তো ভাগনেকে আগেই আঁচলে বেঁধেছেন। কিন্তু মা-ছে’লে দুইজনই মা’রা গেলেন।
Leave a Reply