করো'না ভাইরাসের মধ্যে আবারও উইঘুর মুসলিম'দের উপর নি'র্যাতন শুরু করেছে চীন। চীনে মুসলিম সংখ্যালঘুদের নির্মূল করতে মেতে উঠেছে দেশটি এমন অ'ভিযোগ করেছে উইঘুর মুসলিমর'া। এ লক্ষ্যে আগের চেয়ে কঠোর করা হয়েছে জন্মনিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম। বাধ্য করা হচ্ছে গ'র্ভপাত ও ভ্রুণ হ'ত্যার মতো জঘন্য কাজে। বার্তা সংস্থা এপি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। বেইজিংয়ের এ আচরণকে জাতিসং'ঘের কনভেনশনের ল'ঙ্ঘন বলছেন বিশেষজ্ঞরা। উইঘুর মুসলিমসহ সংখ্যালঘু জনসংখ্যা কমানোর লক্ষ্যে জন্মনিয়ন্ত্রণ প'দ্ধতি ব্যাপকভাকে জোরদার করেছে চীনের কমিউনিস্ট সরকার। সরকারি তথ্য, কারা'গারে আট'ক সাবেক ৩০ ব'ন্দি, তাদের পরিবার, আট'ক কেন্দ্রের এক পরিদর্শকের সাক্ষাৎকার গ্রহণের ভিডিওতে বার্তা সংস্থা এপির অনুসন্ধানি প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। খবরে বলা হয়, দুইয়ের অধিক সন্তান থাকলেই দিতে হচ্ছে মোটা অংকের অর্থ। করতে হয় কারা'ভোগ।
একজন বলেন, তৃতীয় সন্তানের জন্মনিববন্ধসহ সরকারি সব কাগজপত্র আছে। তারপরও বলা হলো দু’দিনের মধ্যে আড়াই হাজার ডলার দিতে হবে। কোনো অর্থ ছিল না। তারা কারো কথা শুনে না। কথা না শুনলে ইলেক্ট্রিক শক দিয়ে ভ্রুণ হ'ত্যা করে। সন্তান জন্মা'দানে সবাই এখন ভয় পায়।অতির'ক্তি সন্তানের খোঁজে প্রায় সব বাসাবাড়িতে অ'ভিযান চালায় পু'লিশ। ভয়ে শিশুদের লুকিয়ে রাখেন আতঙ্কিত বাবা-মায়েরা। এছাড়া জন্মহার কমাতে বাধ্য করা হচ্ছে জন্মনিয়ন্ত্রণের বিভিন্ন প'দ্ধতি গ্রহণে। জোরপূর্বক গ'র্ভপাত, অ'ঙ্গ অকেজোসহ অনামনিবক নানা নি'র্যাতনের অ'ভিযোগ উঠেছে।আরেকজন বলেন, তারা আমা'দের নির্মূল করতে চায় কিন্তু মেরে ফেলছে না। স্টেরিলাইজেশন, কারা'গারে আট'কে রাখা, স্বামী-স্ত্রীকে আলাদা করার মাধ্যমে আমা'দের ধীরে ধীরে শেষ করে দেয়া হচ্ছে।
উইঘুরের হোতান ও কাশগারে ২০১৫ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে জন্মহার কমেছে ৬০ শতাংশ। জিনজিয়ানে কমেছে ২৪ শতাশং। কিন্তু চীনের অন্যান্য জায়গায় এ হার কমেছে মাত্র ৪ শতাংশ। একে জনমিতি গণহ'ত্যা বলছেন বিশেষজ্ঞরা।এডরিন জেনজ বলেন, জিনজিয়ানে চীনা সরকার জন্মনিয়ন্ত্রণ প'দ্ধতি কঠোর ও নি'র্মম করেছে। তারা ব্যাপকভাবে নারীদের স্টেরিলাইজেশন করাচ্ছে। যা জাতিসং'ঘ কনভেনশনের ল'ঙ্ঘন। তাদের এ অ'পকর্মের অকাট্ট প্রমাণ আছে আমা'দের কাছে।এ বি'ষয়ে চীনের আগের বক্তব্য, তারা হানজাতির জনসংখ্যার স'ঙ্গে অন্যান্য সংখ্যালঘুগোষ্ঠীর জনসংখ্যা সমান করার জন্য জন্মনিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। তবে সবশেষে এপির প্রতিবেদকের কাছে কোনো মন্তব্য করেনি বেইজিং।
Leave a Reply