বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ট্রান্সকম গ্রুপের চেয়ারম্যান লতিফুর রহমান আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। আজ বুধবার কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের নিজ বাড়িতে তিনি ইন্তেকাল করেন।
লতিফুর রহমান বেশিরভাগ সময়ই কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের বাড়িতে থাকতেন। সেখানেই আজ বুধবার সকালে তিনি বার্ধক্যজনিত কারণে মা’রা যান বলে জানা গেছে। তিনি স্ত্রী, এক ছেলে ও দুই মেয়ে রেখে গেছেন।
লতিফুর রহমানের এক মেয়ে শাজনীন রহমান ১৯৮৮ সালে গু'লশানের বাড়িতে হ’ত্যাকাণ্ডের শি’কার হয়েছিলেন।
লতিফুর রহমান এমন দিনে মা’রা গেলেন, যেদিন তাঁর নাতি ফারাজ আইয়াজ হোসেনের মৃ’ত্যুবার্ষিকী। মা’র্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফারাজ হোসেন ২০১৬ সালের ১ জুলাই ঢাকার হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় জ’'ঙ্গি হা’মলার ঘ’টনায় নি’'হত হন।
লতিফুর রহমান প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার পত্রিকার অন্যতম মালিক। এ ছাড়া আন্তর্জাতিক ফুড চেইন পিৎজা হাট ও কেএফসি, পেপসি এবং ফিলিপসের বাংলাদেশে ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিক ছিলেন তিনি। তিনি ২০১২ সালে মর'্যদাপূর্ণ বিজনেস ফর পিস অ্যাওয়ার্ড পেয়েছিলেন।
লতিফুর রহমানের জ’ন্ম জলপাইগু'ড়িতেই, ১৯৪৫ সালের ২৮ আগস্ট। দুই বোনের পর তাঁর জ’ন্ম। পরে আরো এক বোন ও এক ভাই আছেন। ঢাকায় থাকতেন গেণ্ডারিয়ায়। ছোটবেলায় পড়তেন সেন্ট ফ্রান্সিস স্কুলে।
সেখান থেকে চলে যান হলিক্রস স্কুলে। সে সময় হলিক্রসে ছেলেরাও পড়ত। ১৯৫৬ সালে তাঁকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় শিলংয়ে। সেন্ট এডমন্ডস স্কুলে ভর্তি হলেন ক্লাস থ্রিতে। সেখান থেকে কলকাতা সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজে।
১৯৬৫ সালের ভারত-পাকিস্তান যু’'দ্ধ, হিন্দু-মু’সলমান দা’'ঙ্গা—এসব কারণে ঢাকায় ফিরে এলেন লতিফুর রহমান। এসে ঢুকে গেলেন পাটের ব্যবসায়। বাবা তখন চাঁদপুরে গড়ে তুলেছেন ডব্লিউ রহমান জুট মিল। ১৯৬৩ সালে কাজ শুরু হলেও উৎপাদন শুরু হলো ১৯৬৬ সালে।
১৯৬৬ সালে বাবার প্রতিষ্ঠানে কাজ শুরু করেন লতিফুর রহমান। দেড় বছর কাজ শেখার পর একজন নির্বাহী হিসেবে যোগ দেন।
১৮৮৫ সাল থেকে তাঁরা চা আবাদের মধ্য দিয়ে তাঁদের বাণিজ্যের অধ্যায় সূত্রপাত করেন। বর্তমানে ট্রান্সকম গ্রুপ বাংলাদেশের মাধ্যমগু'লোর মধ্যে অত্যন্ত দৃঢ়তা অর্জন করেছে।
Leave a Reply