“The Heal” নামের একটি হারবাল সিগারেট বাংলাদেশের বাজারে এসেছে বলে জানা গিয়েছে। সিগারেটটি নিকোটিনমুক্ত এবং ক্ষ'তিবিহীন বলে দাবি করা হয়েছে। তবে তা ক্ষ'তিকারক কি না সেই সম্পর্কিত কোন নিশ্চয়তা বা পরীক্ষিত ফলাফল পাওয়া যায়নি।ধূমপানের আসক্তি খুব খারাপ একটি আসক্তি। বলা হয়ে থাকে এটিতে একবার যিনি আসক্ত হয়ে পড়েছেন তার জন্য এটি ছাড়া অত্যন্ত কষ্টকর। স্বাভাবিকভাবেই ধূমপান মানবদে'হের নানা ধরনের ক্ষ'তি সাধন করে থাকে। তাই এটি কখনোই স্বাস্থ্যোপযোগী নয়। তবে কয়েকটি গবেষণায় উঠে এসেছে যে হারবাল সিগারেট এই আসক্তি নিরসনে অত্যন্ত সহায়ক। আপনি যদি একজন ঘোর ধূমপায়ী হয়ে থাকেন তাহলে আপনার নিত্যদিনের সিগারেটের পরিবর্তে এই হারবাল সিগারেট খেতে পারেন।
ধূমপায়ীরা সাধারণত দিনের বেশ কয়েকটি মুহূর্তে সিগারেট খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তোলেন। এমনকি বিভিন্ন মানসিক চিন্তা এসে মাথায় ভর করলে এই সিগারেটে তার চাপ কিছুটা কমে বলে তাদের ধারণা। সাধারণ সিগারেটের মতোই এই হারবাল সিগারেটে কিছু রাসায়নিক পদার্থ এবং ক্যান্সার উৎপাদক পদার্থ থাকে। তবে এতে এগু'লোর পরিমাণ কম থাকে। একজন ধূমপায়ী তার প্রতিদিনের সিগারেটের চাহিদা মেটাতে এই হারবাল সিগারেট খেতে পারেন যদি তিনি তার স্বাস্থ্যের উন্নতি চেয়ে থাকেন।
হারবাল সিগারেটের মূল বৈশিষ্ট্য হল এটি আসক্তি তৈরি করে না। এই সিগারেটে নিকোটিনের পরিমাণ থাকে শূণ্য শতাংশ। এর পরিবর্তে হারবাল সিগারেটে রয়েছে পুদিনা, দারুচিনি, গু'ল্মলতা, যষ্টিমধু বা লেমনগ্রাস ইত্যাদি হারবাল উপাদান। এতে কিছুটা ক্যান্সার উৎপাদক পদার্থও রয়েছে তবে তা একেবারেই কম পরিমাণে যা স্বাস্থ্যের কোনো ক্ষ'তিই করে না।
সিগারেটটির প্রতি প্যাকে'টে থাকে ১০টি শলা যার মূল্য ১১৫ টাকা। হারবাল হওয়ায় এটি ক্ষ'তিকারক নয় বলেও ধারণা করা হচ্ছে। কারণ এতে কোনোরকম নিকোটিন ব্যবহার করা হয়নি। যারা সিগারেটের নে'শা একদমই ছাড়তে পারেন না, তাদের জন্য এই হারবাল সিগারেটটি গু'রুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।আইনস্টাইন বলেছিলেন, “বিজ্ঞান যদি ক্ষ'তিবিহীন এবং স্বাস্থ্যসম্মত সিগারেট তৈরি করতে পারে, তাহলে বিজ্ঞান সত্যিই সফল।”এই হারবাল সিগারেটটিকেও এক অনন্য আবি'ষ্কার বলে ধারণা করা হচ্ছে!
Leave a Reply