কখনো তানিশা আক্তার, আবার কখনো ফারিয়া চৌধুরী অথবা পরী (৩০) যখন যে নামে ভর করুক না কেন যার উপর একবার পরীর নজর পড়েছে আ’র্থিক-মান’সিক ও শা’রি’রী’কভাবে ভ’য়ঙ্ক’র বিপ’দে ফেলে দেওয়ার ঘটনা শত শত। 'হতদরিদ্র পরিবারে
জন্ম নেয়া ও একজন চা বিক্রেতার স্ত্রী হওয়া সত্বেও গোসল করতেন বিলাসবহুল বাথটাবে। রুমভর্তি দামি আসবাবপত্রে ঠাসা। সমাজের উচুস্তরের বেশকিছু পুরুষের আনাগোনা ছিলো প্রকাশ্যে। রামগঞ্জ উপজে'লা নির্বাহী অফিসারসহ প্রশাসন,
পু'লিশ ও রাজনৈতিক পরিচয়ে উপজে'লার শতাধীক গরীব মানুষদেরকে সরকারি ঘর বরাদ্দ, বয়স্ক ও বিধবা ভাতা এবং বিদ্যুতের মিটার দেয়ার নাম করে হাতিয়ে নিয়েছেন লাখ লাখ টাকা। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন রঙে বিভিন্ন রূপে টার্গেট করা ব্যক্তিদের জীবন অতিষ্ট করে তুললেও শেষ রক্ষা হলো না। লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে অবশেষে সেই ভ’য়ঙ্ক’র পরী বেগমকে গ্রে'’ফতার’ করেছে রামগঞ্জ থানা পু'লিশ। (৩০ জুন) ম'ঙ্গলবার দুপুরে উপজে'লা নির্বাহী কর্মকর্তা মুনতাসির জাহানের কার্যালয় থেকে তাকে গ্রে'ফতার করেছে থানা পু'লিশ।
গ্রে'’ফতা’রের পর তাকে লক্ষ্মীপুর জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন রামগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আনোয়ার হোসেন। পরীর গ্রে'’ফ’তা’রের খবর সর্বত্র ছড়িয়ে পড়লে রামগঞ্জ উপজে'লাব্যাপী ভুক্তভুগীরা স্বস্থি প্রকাশ করেছে। পরীর না জানা আরো অনেক অ’পক’র্ম নিয়ে নিয়ে মুখ খুলতে শুরু করেছেন ভুক্তভোগীরা। স্থানীয় এলাকাবাসী ও ভুক্তভোগী কয়েকজন নারী ও গরীব মানুষরা জানান, শুধু নামেই নয় সুন্দর চেহারার অধিকারী পরী বেগম। কখনো উপজে'লা নির্বাহী অফিসার কখনো মহিলা বি'ষয়ক কর্মকর্তা আবার কখনো সমাজসেবা কর্মকর্তা সেজে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন স্থানে পুরুষ, গ্রামের অবলা দরিদ্র অসহায় নারী ও কিশোরীদের ফাঁ'’দে ফেলে নিজের ইচ্ছা মাফিক অর্থ আ'দায় করাই হলো এই পরীর কাজ।
আর উঠতি বয়সের যুবক, চাকরিজীবী, জনপ্রতিনিধি, রাজনীতিবিদসহ ব্যক্তিদের ফেইজবুকে আপ’ত্তিকর চ্যাটিং বা মোবাইল ফোনে কথা বলে ট্রা’পে ফেলেও প্রতা’রণার মাধ্যমে হাতিয়ে নিয়েছে কয়েক লাখ লাখ টাকা। অন্যদিকে ফোনে কথা বলে রুমডেট করার ফাঁ'’দে ফেলে শি’কার ধরতো। এটা কোন কাল্পনিক কোন জ্বীন-পরীর গল্প না, ডানাবিহীন পরীও না। জে'লার রামগঞ্জের এক প্র’তা’রক পরী বেগমের কথা বলা হচ্ছে। বেশ কয়েক মাস থেকে সে উপজে'লার বিভিন্ন গ্রাম-গঞ্জের এলাকা থেকে ওই পরী বেগমের নানান প্রতারণার খবর এখন টক অব দ্যা টাউনে পরিণত হয়েছে।
পরীর এমন ক’র্মকা’ণ্ডের বিচার দাবিতে ভূক্তভোগী শিরীন আক্তার নামে এক গৃহবধূ একাধিক নারীর পক্ষে বাদী হয়ে গত বৃহস্পতিবার রামগঞ্জ উপজে'লার নির্বাহী অফিসার মুনতাসির জাহানের বরাবর একটি অ'ভি’যোগ দায়ের করেছেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পরী বেগম (প্রকাশ ফাতেমা আক্তার পরী) রামগঞ্জ পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ড নন্দনপুর গ্রামের উম্মেদ ভূঁইয়া বাড়ির চা দোকানি আলমগীর হোসেনের স্ত্রী। চা দোকানদার স্বামী আলমগীর বেশ কয়েকবার স্ত্রীর বেপরোয়া অনৈ'তিক ক’র্ম’কা’ণ্ডের প্রতিবাদ করেও দ’ফায় দ’ফায় মা’রধ’রের শি’কার হয়েছেন।
পরীর ভাড়া করার লোক দিয়ে হ’ত্যার হু’মকি দেয়া হয়েছে কয়েকবার।পরী বেগম সম্প্রতি রামগঞ্জ উপজে'লার চন্ডীপুর ইউনিয়নের বেচারাম বাড়ির শিরীন আক্তারসহ ২৩জন দরিদ্র অসহায় নারীর কাছ থেকে উপজে'লা নির্বাহী অফিসারের পরিচয় দিয়ে বয়স্কভাতা, বিধবাভাতা, প্রতিব'ন্ধীভাতা, মাতৃত্বভাতা ও সরকারি বরা'দ্ধে ঘর করে দেওয়ার নাম করে সহজ সরল মহিলাদের কাছ থেকে লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। এ ব্যাপারে পরী বেগমের স্বামী আলমগীর হোসেন জানান,
আমা'র স্ত্রীর বিরু'দ্ধে অ'ভিযোগগু'লো মিথ্যা। শিরিন বেগম ইএনও অফিসে যে অ'ভিযোগ করেছে তাও পুরোপুরি সত্য নয়।এ ব্যাপারে রামগঞ্জ উপজে'লা নির্বাহী অফিসার মুনতাসির জাহান জানান, ফাতেমা আক্তার পরীর বিরু'দ্ধে অ'ভিযোগের ভিত্তিতে ত'দন্তের জন্য সমাজসেবা কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
ত'দন্ত শেষে পরীর বিরু'দ্ধে বিধিমোতাবেক আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। রামগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আনোয়ার হোসেন জানান, আমর'া পরী বেগমের বিরু'দ্ধে একটি প্রতারণা অ'ভিযোগ পেয়ে ত'দন্তে সত্যতা পেয়ে তাকে গ্রে'’ফতা’র করেছি। তার বিরু’'দ্ধে প্র’তার’ণা ও প্রশাসনের পরিচয়ে টাকা হাতিয়ে নেয়ার ঘটনায় ম'ঙ্গলবার বিকেলে লক্ষ্মীপুর জে'লা কা’রাগা’রে পাঠানো হয়েছে
Leave a Reply