চীন থেকে র'প্তানি করা পরচুলাসহ ১৩ টন চুলজাত সৌখিন সামগ্রী জব্দ করেছে যুক্তরাষ্ট্র কাস্টমস ও বর্ডার প্রটেকশন কর্তৃপক্ষ।
বৃহস্পতিবার নিউইয়র্কের কাস্টমসে প্রায় ৮ লাখ ডলার মূল্যের এসব পণ্য জব্দ করা হয়। কাস্টমস কর্তৃপক্ষের দাবি, পরচুলাসহ এই জিনিসপত্র চীনে নি'র্যাতিত ও ব'ন্দি থাকা উইঘুর মুসলমানদের মাথার চুল জোর করে কে'টে নিয়ে তৈরি করা হয়েছে। খবর সিএনএনের।
যুক্তরাষ্ট্রে যে সমস্ত জিনিস আম'দানি হয়, তা যে কোনরকম অমানবিক উপায়ে সংগৃহীত নয়; তা নিশ্চিত করে জানাতে বলা হয় আম'দানি ও রফতানিকারক উভয় সংস্থাকেই। কিন্তু স্বাভাবিকভাবেই এটা প্রমাণ করা অসম্ভব হয়ে পড়ে যে, কোন জিনিস জোরপূর্বক কাজ করিয়ে উৎপাদন করা হয়েছে।
তবে এমনই অ'ভিযোগ তুললো যুক্তরাষ্ট্র। কাস্টমস কর্মকর্তাদের অ'ভিযোগ, এসব পরচুলা অমানবিক উপায়ে সংগ্রহ করা হয়েছে। পরচুলাসহ এই সব পণ্যের চালান র'প্তানি করেছে মেক্সিন হেয়ার প্রডাক্ট কোম্পানি লিমিটেড। যার মূলশাখা চীনের জিনজিয়াং প্রদেশে। এ প্রদেশেই সংখ্যালঘু মুসলিম উইগু'র সম্প্রদায়ের ১ কোটি ১০ লাখ মানুষের বাস।
তবে মুসলিম'দের ওপর বরাবরই নি'র্যাতন, ব'ন্দিশিবিরে আট'কে রাখা, খাবার না দেওয়া, জোরপূর্বক গ'র্ভপাত ঘটানো, ধ'র্মান্তরে বাধ্য করা, যৌ'ননি'পী'ড়ন ও হ'ত্যার অ'ভিযোগ রয়েছে চীনের কমিউনিস্ট শাসনের বিরু'দ্ধে। দেশটির ব'ন্দিশিবিরে ১১ লাখের মতো মুসলিম এখনও ব'ন্দি রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের আশংকা, এসব চুল ব'ন্দিশিবিরে থাকা উইগু'র মুসলিম'দের মাথার।
এসব চুল হয় ব'ন্দি উইঘুর নারীদের, নয়তো অন্য ব'ন্দিদের বাধ্য করা হয়েছে বড় চুল রাখতে। পরে সেগু'লোই জোর করে কে'টে নেওয়া হয়েছে। আর তাই সংস্থাটিকে বলা হয়েছে এ সমস্ত চুলজাত সামগ্রী যে বলপূর্বক সংগ্রহ করা নয়, তার প্রমাণ দেখাতে। এ ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের কাস্টমস কমিশনার ব্রেন্ডা স্মিথ বলেন, আমেরিকার আম'দানিকারকদের এটি অবশ্যই প্রমাণ দেখাতে হবে যে আম'দানি পণ্য মানবিক ও নৈতিক মানদ'ণ্ড বজায় রেখে উৎপাদিত হয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, অ'ভিযোগের সত্যতা প্রমাণ হলে যুক্তরাষ্ট্রের শাস্তিমূলক নিষে'ধাজ্ঞার কবলে পড়তে পারে চীন। এছাড়া আগামী দিনে বিশ্বের সমস্ত রাষ্ট্রের কাছে ব্যবসা করার ক্ষেত্রে বাধার মুখে পড়তে হবে দেশটিকে।
Leave a Reply