প্রতিবার কোরবানি দেন এমন ৩০ থেকে ৩৫ ভাগ মানুষ এবার ঈদে কোরবানি দিতে পারবেন না। করো'না মহা'মা'রির কারণে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অবস্থা খারাপ হওয়ায় দেশের মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থাও খারাপ। গত চার মাসে করো'না, সুপার ঘূর্ণিঝড় আম্ফান, কালবৈশাখী, অতিবৃষ্টি ও সর্বশেষ বন্যায় মানুষ নানাভাবে ক্ষ'তিগ্রস্ত হয়েছে। কৃষকের ফসল নষ্ট হয়েছে, ব্যবসায়ীর ব্যবসা নেই। চাকরি হারিয়েছেন বেসরকারি চাকরিজীবীরা। এসব কারণে এবার কোরবানির সংখ্যা কমবে বলছেন সংশ্লিষ্টরা।
পবিত্র ঈদুল আজহা মুসলমানদের জন্য দ্বিতীয় বৃ'হত্তম ধ'র্মীয় উৎসব। এই দিনটিতে সামর'্থ্যবান মুসলমানরা আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্য তাদের প্রিয় পশু কোরবানি করেন। অত্যন্ত আনন্দ, উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্যদিয়ে উদযাপিত হয় দিনটি। কিন্তু এবার সে পরিস্থিতি নেই। মানুষ আত'ঙ্কের মধ্যে আছে।
করো'নার কারণে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনসহ দেশের বিভিন্ন সিটি করপোরেশন, পৌরসভা ও হাট কর্তৃপক্ষ হাটের সংখ্যাও কমিয়ে দিয়েছে। তারপরও অনেক স্থানে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে হাটের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তবে ঢাকাসহ বিভিন্ন শহরে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় পশুর হাট না বসাতে সরকার নিষে'ধ করছে। সরকার বলছে, জীবিকার তাগিদে বের 'হতে হবে তবে আগে জীবন। জীবনকে রক্ষা করতে যা কিছু করণীয় তা করতে হবে।
গতবছর দেশে কোরবানিযোগ্য পশু ছিল প্রায় এক কোটি ১৮ লাখ। এর মধ্যে কোরবানিতে পশু জ’বাই করা হয়েছিল এক কোটি ৬ লাখ। গতবছরের প্রস্ততকৃত প্রায় ১২ লাখ পশু সারপ্লাস (উদ্বৃত্ত) ছিল। এর মধ্যে করো'নার শুরু থেকে গত চার মাসে পশু জ’বাই এবং বিক্রির সংখ্যাও কমে গেছে। দেশে করো'না সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আগে সারাদেশে দিনে ৪৫ কোটি টাকার গরু কেনাবেচা হয়েছে। সাধারণত মাংস বিক্রির জন্য কসাইদের কাছে এসব গরু বিক্রি হয়। কিন্তু গত মা'র্চ থেকে জুন পর্যন্ত সময়ে দিনে গড়ে ১০ কোটি টাকার বেশি গরু কেনাবেচা হয়নি। ডেইরি ফারমা'র্স অ্যাসোসিয়েশন এই তথ্য দিয়েছে।
Leave a Reply