মহা'মা'রী করো'না ভাইরাস বাতাসে কতক্ষণ বেঁচে থাকতে পারে বা বাতাসে কতদূর ভ্রমণ করতে পারে, সে বি'ষয়ে বিজ্ঞানীদের বিভিন্ন মত শুরু থেকেই ছিল। এবার বি'ষয়টি নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন দুইশ’র বেশি গবেষক। তারা বলছেন, বাতাসেও ভেসে থাকে করো'নাভাইরাস।
নিউইয়র্ক টাইমস ও লস অ্যাঞ্জে'লেস টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও ইউএস সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের পক্ষ থেকে করো'নাভাইরাসের শুধু দুই ধরনের সংক্রমণ সম্পর্কে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়ে থাকে। একটি হচ্ছে আশপাশের কোনো সংক্রমিত ব্যক্তির কাছ থেকে শ্বা'সপ্রশ্বা'সের ড্রপলেট শ্বা'সের মাধ্যমে ঢুকে গেলে সংক্রমণ ছড়ায়। আরেকটি হচ্ছে ভাইরাসযুক্ত পৃষ্ঠ স্পর্শ করার পর চোখ, নাক বা মুখ স্পর্শ করার মাধ্যমে করো'নাভাইরাস সংক্রমিত হয়।
তবে অন্য বিশেষজ্ঞরা যুক্তি দেখান যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশিকায় ক্রমবর্ধমান প্রমাণকে উপেক্ষা করা হচ্ছে। সংক্রমণের ক্ষেত্রে তৃতীয় যে আরেকটি বি'ষয় গু'রুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে, সে বি'ষয়টি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অস্বীকার করে আসছে।
গবেষকরা বলছেন, একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, শ্বা'সপ্রশ্বা'সের ড্রপলেটের ক্ষুদ্র সংস্করণ বা অ্যারোসল কণা দীর্ঘসময় বাতাসে ভেসে থাকতে পারে। এটি কয়েক মিটার পর্যন্ত ভেসে যেতে পারে। এটি যেসব ঘরে আলো-বাতাস কম বা বাসসহ বিভিন্ন যানবাহনের বন্ধ জায়গায় বেশি মা'রাত্মক 'হতে পারে। এমনকি এসব জায়গায় ১ দশমিক ৮ মিটার দূরত্ব রেখেও কোনো লাভ হয় না।
অস্ট্রেলিয়ার ব্রিসবেনের কুইন্সল্যান্ড ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির বিজ্ঞান এবং পরিবেশ প্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক লিডিয়া মোরাউসকা বলেন, ‘আমর'া এ বি'ষয়টি শতভাগ নিশ্চিত।’
এদিকে আর্কটিক অঞ্চলের বরফ গলায় হাজার হাজার পুরনো মর'ণঘা'তী ভাইরাস সক্রিয় হচ্ছে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিজ্ঞানীরা। তারা বলছেন, এরে ফলে বিশ্বজুড়ে বড় বিপর্যয় নেমে আশার শঙ্কা রয়েছে।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম দ্য ইন্ডিপেনডেন্ট রোববার (০৬ জুলাই) বি'ষয়টি নিয়ে একটি বিশেষ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। খবরে বলা হয়েছে, আর্কটিক অঞ্চলে এখন যা হচ্ছে তা খুবই 'হতাশাজনক। সর্বশেষ ১৫ দিনে সাইবেরিয়ায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অনেক স্থান দাবদাহ চলছে।
তাপমাত্রার কারণে আবহাওয়ায় ছড়িয়ে পড়ছে বিপুল পরিমাণ কার্বন ডাই-অক্সাইড। এতে জলবায়ু পরিস্থিতি মা'রাত্মকভাবে ক্ষ'তির মুখে পড়ছে। থিবী অতিমাত্রায় গরম হয়ে উঠছে। এতে আর্কটিক অঞ্চলে হিমায়িত অবস্থায় থাকা ভাইরাসগু'লো সক্রিয় হয়ে উঠতে পারে। অনেক ভাইরাস সক্রিয় হচ্ছে।
বিজ্ঞানীদের ধারণা, এসব ভাইরাস আর্কটিক অঞ্চলের বরফের নিচে হিমায়িত হয়ে সু'প্ত অবস্থায় ছিল। ভাইরাসগু'লি হাজার হাজার এমনকি লাখো বছরের পুরনো। দ্রুত তাপমাত্রা বৃ'দ্ধির ফলে প্রথমবারের মতো এসব ভাইরাস সক্রিয় হচ্ছে। যখন হিমায়িত অবস্থা থেকে প্রকৃতিতে ভাইরাস অবমুক্ত হয়, তখন তা নদীতে গিয়ে পড়ে। অক্সিজেনের স'ঙ্গে মিশে যায়।
পরিবেশবাদী সংগঠন গ্রিনপিসের অনুসন্ধানী সংবাদমাধ্যম আনআর্থডকে এইক্স মা'র্সেইলি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইরাস বিশেষজ্ঞ জ্যাঁ মিশেল ক্লাভেরি বলেছেন, একেবারে চিরহিমায়িত অঞ্চলের গভীরে বেঁচে থাকতে পারে ব্যাকটেরিয়া এবং তারা পুনরুজ্জীবিত 'হতে পারে।
একই প্রতিষ্ঠানের ড. চ্যান্টাল অ্যাব'ারজেল বলেন, প্রাচীনকালের হিমায়িত নমুনা থেকে আমর'া ৩০ হাজার বছরের পুরানো ভাইরাসকে পুনরুজ্জীবিত করতে সক্ষম হয়েছি। তবে এর আগের ভাইরাসকে আমর'া পুনরুজ্জীবিত করতে পারিনি।
Leave a Reply