করো’নাকালে বিশ্বের নানা প্রান্তে অনেক অদ্ভুত ঘটনা ঘটছে। এবার ভা’রতের কর্নাট’কের তুমাকুরু জে’লার গোডেকেরে গ্রামে কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হল ৪৭টি ছাগলকে! ছাগলপালকের করো’না পজিটিভ ধ’রা পড়ার কারণেই তার ছাগলগু'লোকে কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়েছে।
কর্নাট’কের রাজধানী ব্যা'ঙ্গালুরু থেকে ১২৭ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই গোডেকেরে গ্রাম। চিক্কানয়াকানাহাল্লি তালুকের এই গ্রামে প্রায় ৩০০টি বাড়ি আছে বলে সূত্রের খবর। এই গ্রামে প্রায় এক হাজার মানুষের বাস। সম্প্রতি এই গ্রামের দুজনের শরীরে করো’নাভাই’রাস ধ’রা পড়েছে। এই দুজনের মধ্যে একজন হলেন ছাগলগু'লোর মালিক। ওই লোকের করো’না ধ’রা পড়ার পরেই তার চারটি ছাগল মা’রা যায়। এর পর আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে পুরো গ্রামে।জে’লা পশুস্বাস্থ্য বিভাগে খবর দেওয়া হলে ম'ঙ্গলবার গ্রামে পৌঁছন কর্মক’র্তারা। ছাগলগু'লোর সোয়াব নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। মোটি ৪৭টি ছাগলকে কোয়ারেন্টিন করা হয়েছে। গ্রামের বাইরেই এক জায়গায় কোয়ারেন্টিন করা হয়েছে ছাগলগু'লোকে।
প্রথমে জে’লা পশুস্বাস্থ্য বিভাগের কর্মক’র্তারা গ্রামবাসীদের প্রতিরোধের মুখে পড়েন। ছাগলগু'লোকে হ’ত্যা করতেই তারা গ্রামে এসেছেন বলে মনে করেন গ্রামবাসীরা। সেই কারণে পশুস্বাস্থ্য বিভাগের কর্মক’র্তাদের বাধা দেন তারা। কর্মক’র্তারা গ্রামবাসীদের বোঝান যে এই ছাগু'লগু'লো গোটা গ্রামের জন্য বিপদের কারণ 'হতে পারে। তাই বাধ্য হয়ে এদের কোয়ারেন্টিন করা হচ্ছে। ছাগলগু'লোকে মা’রা হবে না। তারপরই সম্মত হন গ্রামবাসীরা।মৃ’ত ছাগলগু'লোর ময়নাত’দন্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন পশুস্বাস্থ্য বিভাগের সচিব পি মনিভান্নান। এই ছাগলগু'লো করো’নাতেই ম’রেছে কিনা তা জানতে এদের সোয়াব নমুনা ব্যা'ঙ্গালুরুর ইনস্টিটিউট অফ অ্যানিম্যাল হেলথ অ্যান্ড ভেটেরিনারি বায়োলজিকসকে পাঠানো হয়েছে।আইএএইচভিবি-র ডিরেক্টর ড. এসএম গু''প্তা জানিয়েছেন যে মানুষের থেকে পশুর শরীরে করো’না ছড়ানোর কোনো প্রমাণ এখনো পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। তবু ছাগলগু'লোর করো’না পরীক্ষা করা হবে। করো’নার মতো ভাই’রাস সাধারণত পশুর থেকে মানুষের শরীরে ছড়ায় বলে জানিয়েছেন তিনি।
Leave a Reply