করো'নাকালে স্বাস্থ্যখাতে যে দুর্নীতিগু'লো হয়েছে, যেভাবে লাগামহীনভাবে মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে, নিম্নমানের পণ্য দিয়ে দাম হাঁকানো হয়েছে সেসকল যাব'তীয় তথ্য এখন প্রধানমন্ত্রীর হাতে। একাধিক দায়িত্বশীল সূত্রগু'লো বলছে যে, প্রধানমন্ত্রীর নিজস্ব উদ্যোগে কারা' কারা' এই সমস্ত অনিয়ম, দুর্নীতির স'ঙ্গে যুক্ত তাঁদের সমস্ত খবর সংগ্রহ করা হয়েছে এবং যাচাইবাছাই করে তা প্রধানমন্ত্রীর কাছে দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী এই সমস্ত বি'ষয়গু'লো পরীক্ষা নিরীক্ষা করছেন এবং এই ব্যাপারে তিনি শূন্য সহিষ্ণুতা নীতি দেখাবেন বলে একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছে।
এই সমস্ত দুর্নীতির স'ঙ্গে যারাই জড়িত তাঁরা যতইও ক্ষমতাবান হোক না কেন প্রধানমন্ত্রী তাঁদের বিরু'দ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রগু'লো বলছে যে, বাংলাদেশের করো'না সংক্র’মণের শুরু থেকেই দুর্নীতির খবর আসতে থাকে। বিশেষ করে, করো'না সংক্রমণের শুরু থেকেই চিকিৎসকদের সুরক্ষা সামগ্রী নিয়ে দুর্নীতি হয় এবং প্রধানমন্ত্রী নিজে এই দুর্নীতির কথা বলেছিলেন যে, এন-৯৫ মাস্কের নামে যে মাস্ক দেওয়া হচ্ছে সেই মাস্কের মোড়কে এন-৯৫ লেখা থাকলেও বাস্তবে তা এন-৯৫ নয়।
সা'প্লায়াররা যে মাল দিচ্ছে সেগু'লো যাচাইবাছাই করে নেওয়ার নির্দেশও দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার পর স্বাস্থ্য অধিদ'প্তর নিজেদের পক্ষে সাফাই গেয়েছিল এবং কার্যত প্রধানমন্ত্রীকে চ্যালেঞ্জ করেছিল। কিন্তু তারপরেও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশনার প্রেক্ষিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় দায়সারা ত'দন্ত কমিটি গঠন করে। সেই ত'দন্ত কমিটির রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়নি এবং রিপোর্ট কার্যকর করার কোন উদ্যোগও নেয়া হয়নি।
এরপরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের উদ্যোগে এই ব্যাপারে খোঁজখবর নেওয়া হয় এবং সারাদেশে যে মাস্কগু'লো সরবরাহ করা হয়েছে সেগু'লোর ব্যাপারে ত'দন্ত করে এই ব্যাপারে যারা জড়িত তাঁদের চিহ্নিত করা হয়। এই ব্যাপারে যাব'তীয় তথ্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে দেওয়া হয়েছে।
আরটি পিসিআর ল্যাব' নিয়ে যে সমস্ত অ'ভিযোগ প্রধানমন্ত্রীর কাছে আছে প্রধানমন্ত্রী সে ব্যাপারে তাঁর কার্যালয়কে খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন এবং এই খতিয়ে দেখার প্রেক্ষিতে যে সমস্ত অনিয়মের খবর পাওয়া গেছে সেগু'লো প্রধানমন্ত্রীর কাছে দেওয়া হয়েছে বলে সরকারের একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছে। এছাড়া করো'না সঙ্কটকালে বিভিন্ন প্রকল্পের নামে লাগামহীন মূল্য নির্ধারণ করে কেনাকা'টা সম্পর্কিত সিএমএসডি’র যাব'তীয় তথ্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে গেছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এই ব্যাপারে পরীক্ষা-নিরীক্ষা অনুসন্ধান করে বি'ষয়টি প্রধানমন্ত্রীর কাছে দিয়েছে।
সরকারের দায়িত্বশীল সূত্রগু'লো জানিয়েছে যে, করো'না সঙ্কটের সময় যে সমস্ত সন্দে'হভাজন কেনাকা'টা হয়েছে, সে সমস্ত অনিয়ম এবং কেনাকা'টার ব্যাপারে খোঁজখবর নেওয়ার পর প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে এই সমস্ত বিল পাশে নিষে'ধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এখন যারা এই সমস্ত জিনিস কেনাকা'টা করেছে এবং সা'প্লাই দিয়েছে তাঁদের অনিয়মের ব্যাপারে আরো খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে এবং খোঁজখবর নেওয়ার পরে তাঁদের বিরু'দ্ধে একাধিক পদ'ক্ষেপ নেওয়া 'হতে পারে বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।
প্রথমত, যাঁদের বিরু'দ্ধে অ'ভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া যাব'ে তাঁদের বিরু'দ্ধে যেন দুদক দ্রুত পদ'ক্ষেপ নেয় সে ব্যাপারে নির্দেশনা দেওয়া হবে। দ্বিতীয়ত, এই সমস্ত ঠিকাদারদের কালো তালিকাভুক্ত করা হবে এবং ভবি'ষ্যতে যেন তাঁরা আর এসমস্ত ঠিকাদারি করতে না পারে সে ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদ'ক্ষেপ নেওয়া হবে।
তৃতীয়ত, সরকারের পক্ষ থেকে যারা এর স'ঙ্গে জড়িত ছিল তাঁদের বিরু'দ্ধেও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এবং তাঁরা যেন তাঁদের কৃতকর্মের ফল ভোগ করতে পারে সেটা নিশ্চিত করা হবে। সংশ্লিষ্ট সূত্রগু'লো বলছে যে, করো'নার সময়ে যারা দুর্নীতি করেছে তাঁদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী কোন ছাড় দিবেন না এবং যথাযথ ব্যবস্থা তাঁদের বিরু'দ্ধে নেওয়া হবে।
Leave a Reply