বাংলাদেশ ব্যাংকের (বিবি) এক মহাব্যবস্থাপকের (জিএম) স্ত্রীর স'ঙ্গে ওই কর্মকর্তার পিএসের অনৈ'তিক সম্পর্কের জেরে তোলপাড় শুরু হয়েছে। এতে ভাঙনের মুখে পড়েছে দুটি সংসার। স্বামীর প'রকীয়া ঠেকাতে না পেরে আইনের আশ্রয় নিয়েছেন অ'ভিযুক্ত পিএসের স্ত্রী। তিনি রাষ্ট্রায়ত্ত একটি বাণিজ্যিক ব্যাংকের শাখা অফিসে সিনিয়র অফিসার হিসেবে কর্মর'ত।অনৈ'তিক প'রকীয়ায় সৃষ্ট দাম্পত্য কলহের জেরে তিনি তার স্বামীর অমানবিক শারীরিক ও মানসিক নি'র্যাতনের শিকার- এমন অ'ভিযোগ তুলে যথাযথ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য গত বুধবার পিএসের স্ত্রী রংপুরের কোতোয়ালি থানায় মা'মলা (নং-৩) দায়ের করেছেন। তবে গতকাল রবিবার বিকাল পর্যন্ত কাউকে গ্রে''প্তার করা হয়নি।
এদিকে প'রকীয়ার জেরে স্বামীর নি'র্যাতনের বি'ষয়ে সবিস্তারে জানিয়ে গত ২৫ জুন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের দ'প্তরেও লিখিত অ'ভিযোগ পাঠিয়েছেন ব্যাংক কর্মকর্তা ওই নারী। তার মাধ্যমেই আমা'দের সময়ের কাছেও এসেছে জিএমের স্ত্রীর স'ঙ্গে তার পিএসের অনৈ'তিক সম্পর্কের প্রমাণস্বরূপ অ'ভিযুক্তদের কিছু অন্তর'ঙ্গ ছবি ও মোবাইল ফোনে কথোপকথনের অডিও ক্লিপ।মা'মলার ত'দন্ত কর্মকর্তা রংপুর কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক রাজিফুজ্জামান বসুনিয়া গতকাল আমা'দের সময়কে বলেন, মা'মলার পর থেকে আ'সামিরা পলাতক থাকায় একাধিক অ'ভিযান চালিয়েও তাদের গ্রে''প্তার করা সম্ভব হয়নি। তাদের গ্রে''প্তারের চেষ্টা অব্যা'হত রয়েছে।
মা'মলার বাদী ভুক্তভোগী গৃহবধূ গতকাল এই প্রতিবেদককে জানান, পারিবারিকভাবে ২০০৯ সালে অ'ভিযুক্তের স'ঙ্গে তার বিয়ে হয়। এর কিছুদিন পরই বাদী বুঝতে পারেন, বিভিন্ন মেয়ের স'ঙ্গে তার স্বামীর অনৈ'তিক সম্পর্ক রয়েছে। এসবের প্রতিবাদ করলে বাদীর ওপর চালানো 'হতো অমানবিক নি'র্যাতন। বাদীর গ'র্ভকালীন সময়েও তার স্বামী মোবাইল ফোনে, ফেসবুকে ও ম্যাসেঞ্জারে বিভিন্ন মেয়ের স'ঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক চালিয়ে যান। বাধা দিলে গ'র্ভাবস্থায়ই দুবার বেধড়ক মা'রপিট করা হয় তাকে। শুধু তাই নয়, মা'রধরের কারণে অসুস্থ হয়ে পড়লেও তাকে ডাক্তারের কাছে পর্যন্ত নেওয়া হয়নি। এ নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে বিবাহ বিচ্ছেদের হু’মকি দেওয়া হয়; যৌ'তুক হিসেবে দাবি করা হয় ২০ লাখ টাকা। অনাগত সন্তানের ভবি'ষ্যতের কথা ভেবে সব অত্যাচার মুখ বুজে সহ্য করে আসছিলেন বলে জানান বাদী।তিনি আরও জানান, জিএমের পিএস হিসেবে তার স্বামী দায়িত্ব গ্রহণের পর ওই জিএমের স্ত্রীর স'ঙ্গেও প'রকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন। জিএমের স্ত্রী তার স্বামীর কর্মস্থলে মাঝে মাঝে বেড়াতে এলে তাদের গো'পন সম্পর্ক অফিসে কর্মর'ত অনেকের নজরে আসে। একপর্যায়ে মোবাইল ফোনে তাদের প'রকীয়া প্রেমের কথোপকথনের রেকর্ড অফিসের কয়েকজনের মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে তোপের মুখে পড়েন পিএস।
বাদী আরও বলেন, বি'ষয়টির সমাধানে অফিসের তিনজন সহকারী পরিচালকের হস্ত'ক্ষেপে আমা'র শ্বশুরালয়ের লোকজনের স'ঙ্গে ৩ দফায় বৈঠক হয়। সেখানে আমা'র স্বামী নিজেকে সংশোধন করে ভবি'ষ্যতে এ ধরনের অনৈ'তিক কর্মকা- থেকে বিরত থাকবেন বলে প্রতিজ্ঞা করেন ও প্রতিশ্রুতি দেন। অথচ এখনো তিনি প'রকীয়া অব্যা'হত রেখেছেন। এ অনৈ'তিক সম্পর্ক নিয়ে প্রতিবাদ করলে আমা'র শিশু কন্যার সামনেই তিনি আমা'র গলা টিপে ধরেন; মেঝেতে ফেলে এলোপাতাড়ি কিল-ঘু'ষি ও লাথি মা'রেন। একপর্যায়ে বাসার গৃহপরিচারিকা এসে বাঁচায় আমাকে। পরে ডাক্তারি পরীক্ষার রিপোর্ট থেকে জানতে পারি, মা'রধরের কারণে আমা'র বুকের বাম পাঁজরের একটি হাড় ফেটে গেছে। নিরাপত্তাহীনতার কথা ভেবে থানায় সাধারণ ডায়েরি পর্যন্ত করেছি। কিন্তু প'রকীয়া থেকে সরে আসেননি তারা। সর্বশেষ গত ৭ মা'র্চ ঢাকায় সাক্ষাৎ করেন ওই জিএমের স্ত্রী ও আমা'র স্বামী। এর প্রমাণ রয়েছে আমা'র কাছে।
বিবির গভর্নরের কাছে লিখিত অ'ভিযোগে বাদী উল্লেখ করেন, একজন শিক্ষিতা, চাকরিজীবী হয়েও অনেক জ্বা'লা-যন্ত্রণা সহ্য করে বিবাহ বিচ্ছেদের কথা না ভেবে সুদীর্ঘ ১১ বছর সংসার করে গেছি। ভালোবেসে তাকে (অ'ভিযুক্ত স্বামী) বিয়ে করেছিলাম সুন্দরভাবে সংসার করার জন্য। কিন্তু একটা অদৃশ্য ঝড়ে আমা'র লালিত স্বপ্ন ভেঙে চুরমা'র হয়ে গেল। এ পর্যায়ে তার মতো একটা বিশ্বা'সঘা'তক, অনৈ'তিকতায় নিম'গ্ন ব্যভিচারী লোকের স'ঙ্গে আর একস'ঙ্গে বসবাস করা যায় না। বাংলাদেশ ব্যাংকের মতো একটা সুপরিচিত, স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার অন্তরালে তার স্ত্রীর স'ঙ্গে অনৈ'তিক সম্পর্ক স্থাপন করে সামাজিকভাবে গর্হিত নোং'রা কাজ করে যাচ্ছেন তার স্বামী। এতে প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি নষ্ট হওয়া ছাড়াও তাদের পৈশাচিকতায় বাদীর একমাত্র অবুঝ শিশু কন্যাকে তার পিতার স'ঙ্গ এবং পিতার আদর-ভালোবাসা পাওয়া থেকে বিছিন'্ন করার জন্য তাদের বিরু'দ্ধে প্রতিকার দাবি করেন অ'ভিযোগকারী।বাদীর অ'ভিযোগের বি'ষয়ে জানতে অ'ভিযুক্ত পিএস ও জিএমের স্ত্রীর মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও ওপাশ থেকে সাড়া মেলেনি।এদিকে ওই জিএম এ প্রতিবেদককে বলেন, তার স্ত্রীর বিরু'দ্ধে যে প'রকীয়ার অ'ভিযোগ তোলা হচ্ছে তা ভিত্তিহীন ও বানোয়াট। গত বুধবার দায়ের হওয়া মা'মলার বি'ষয়ে তিনি অবগত নন বলে দাবি করেন। প'রকীয়া সংশ্লিষ্ট প্রা'প্ত ছবি ও কথোপকথনের অডিও ক্লিপের বি'ষয়ে তিনি বলেন, এগু'লো সাজানো ও নকল।
Leave a Reply