বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে করো'নাভাইরাস। রূপ নিয়েছে মহা'মা'রির। গবেষকদের কঁপালের ভাজ এখনো কমেনি ওষুধ আবি'ষ্কার করতে না পারাই। সংক্রমিত হয়েছে বাংলাদেশেও। তবে গু'রুত্বপূর্ণ পদ'ক্ষেপ নিয়ে নিয়ন্ত্রণে রেখেছে সরকার। এতে কমছে মৃ'ত্যুর হার ও বেড়েছে সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীর সংখ্যা।
রোববার সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট এর সর্বশেষ তথ্যমতে, গত ২৪ ঘণ্টায় মা'রা গেছেন মাত্র দুই জন। আর সব মিলিয়ে সুস্থ হয়েছেন এক হাজার ৬৩ জন। দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদফতরের করো'নাভাইরাস বি'ষয়ক নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা তথ্যটি জানান।
এ সময় তিনি বলেন, আমা'দের নতুন যে ক্লিনিক্যাল ম্যানেজমেন্ট আছে, তারা নতুন একটি গাইডলাইন তৈরি করেছেন। আমর'া কীভাবে রোগীদের সুস্থ বলতে পারব বা তারা হাসপাতাল ত্যাগ করতে পারবেন কী কী ক্রা'ইটেরিয়ায় (বৈশিষ্ট্য)।
‘এই ক্রা'ইটেরিয়াতে আমর'া বলব, আমা'দের এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন যারা, তাদের সংখ্যা হয়েছে এক হাজার ৬৩ জন। তার মধ্যে ঢাকা মহানগরীর হাসপাতালগু'লো থেকে ছাড়া পেয়েছেন ৬২৪ জন এবং বিভাগীয় হাসপাতালগু'লো থেকে ছাড়া পেয়েছেন ৪৩৯ জন।’
বিভাগগু'লোর হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হওয়া ব্যক্তিদের সংখ্যা উল্লেখ করে নাসিমা সুলতানা বলেন, মহানগরীর হাসপাতালগু'লো বাদে ঢাকা বিভাগের হাসপাতালগু'লো থেকে ছাড়া পেয়েছেন ২৭২ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের হাসপাতালগু'লো থেকে ৭২ জন, রাজশাহী থেকে দুইজন, খুলনা থেকে ছয়জন, বরিশাল থেকে ২৯ জন, সিলেট থেকে দুইজন, ময়মনসিংহ থেকে ৩১ জন এবং রংপুর বিভাগের হাসপাতালগু'লো থেকে ২৫ জন সুস্থ হয়ে ছাড়া পেয়েছেন।’
ঢাকা মহানগরীর চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, ঢাকা মহানগরীর মধ্যে কুয়েত মৈত্রী হাসপাতাল থেকে ২৯৮ জন, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল থেকে ২১৩ জন, ইনফেকশাস ডিজিজ হাসপাতাল থেকে আট'জন, ঢাকা মহানগর হাসপাতাল থেকে ৩৮ জন, রিজেন্ট হাসপাতাল থেকে ১৫ জন, সাজেদা ফাউন্ডেশন হাসপাতাল থেকে ২২ জন, রাজারবাগ পু'লিশ লাইন হাসপাতাল থেকে ২৬ জন এবং মিরপুর লাল কুঠির হাসপাতাল থেকে চারজন সুস্থ হয়েছেন।
বুলেটিনে গত ২৪ ঘণ্টার চিত্র তুলে ধরে ডা. নাসিমা সুলতানা জানান, করো'নাভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘণ্টায় আরো পাঁচ হাজার ২১৪টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এর মধ্যে আগের কিছু মিলিয়ে পরীক্ষা করা হয়েছে পাঁচ হাজার ৩৬৮টি। সব মিলিয়ে নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৮১ হাজার ৪৩৪টি।
‘নতুন যাদের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে, তাদের মধ্যে আরো ৬৬৫ জনের দে'হে করো'নাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। মোট করো'নায় আ'ক্রা'ন্ত হয়েছেন নয় হাজার ৪৫৫ জন।’ দেশে করো'নাভাইরাসে সংক্রমিত (কোভিড-১৯) প্রথম রোগী শনাক্ত হয় গত ৮ মা'র্চ। ১৮ মা'র্চ করো'নাভাইরাসে আ'ক্রা'ন্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃ'ত্যু হয়।
আন্তর্জাতিক জরিপকারী সংস্থা ওয়ার্ল্ডওমিটার এর তথ্য অনুযায়ী প্রাণঘা'তী মহা'মা'রি করো'নাভাইরাসে বিশ্বজুড়ে মৃ'তের সংখ্যা ২ লাখ ৪৪ হাজার ৮৭৬। এছাড়া আ'ক্রা'ন্ত হয়েছেন ৩৪ লাখ ৯৭ হাজার ৪৫ জন। সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১১ লাখ ২৬ হাজার ২৭৫ জন।
Leave a Reply