শেয়ারবাজারের শত কোটি টাকা আ'ত্মসাতের অ'ভিযোগে ক্রেস্ট সিকিউরিটি লিমিটেডের চেয়ারম্যান মো. শ’হীদুল্লাহকে গ্রে'ফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পু'লিশে (ডিবি)। শ’হীদুল্লাহ ও তার স্ত্রী নিপা সুলতানা নুপুরকেও গ্রে'ফতার করা হয়।
তিনি ও তার স্ত্রী মিলে গ্রাহকদের শত কোটি টাকার বিনিয়োগ ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দিয়েছেন। শ’হীদুল্লাহর স'ঙ্গে তার স্ত্রী নিপা সুলতানা নুপুরকে গ্রে'ফতার করা হয়।
ম'ঙ্গলবার (৭ জুলাই) দুপুর পৌনে ১২টার দিকে ঢাকা মহানগর (ডিএমপির) গোয়েন্দা অফিসের সামনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পু'লিশের অতিরিক্ত কমিশনার মো. আবদুল বাতেন
তিনি বলেন, ‘ক্রেস্ট সিকিউরিটি লিমিটেড ঢাকা স্টক এক্সেচেঞ্জের একটি ব্রোকার হাউজ। তাদের ২২ হাজার গ্রাহক রয়েছে। সেখানে গ্রাহকদের প্রায় শত কোটি টাকার লেনদেন রয়েছে।
গত ২২ জুন এর মধ্য থেকে ১৮ কোটি টাকা আ'ত্মসাতের জন্য গ্রাহকদের অ্যাকাউন্ট থেকে তুলে নেন শ’হীদুল্লাহ। বিনিয়োগকারীরা দেখলেন ওই টাকা নেওয়ার পর কোনো ম্যাসেজ গ্রাহকদের ফোনে যায়নি।’
তিনি আরও বলেন, ‘এছাড়া বিভিন্ন গ্রাহকদের কাছ থেকে চুক্তির মাধ্যমে ৩০ কোটি টাকা নিয়েছিলেন তারা। এ টাকার জন্য তারা গ্রাহকদের লভ্যাংশ দিতেন। সেই টাকাও তারা আ'ত্মসাৎ করেছেন। ২২ হাজার বিও অ্যাকাউন্ট বিনিয়োগকারীর বিনিয়োগ ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দিয়েছেন শ’হীদুল্লাহ।’
গ্রে'ফতারদের জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে তিনি বলেন, ‘ক্রেস্ট সিকিউরিটি লিমিটেডের ২২ হাজার বিও অ্যাকাউন্ট রয়েছে। যেখানে শত কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। ওই টাকার মধ্যে তারা ১৮ কোটি টাকা আ'ত্মসাৎ করেছেন। এছাড়াও ৪৪ থেকে ৪৫ জনের কাছ থেকে মুনাফা দেওয়ার কথা বলে ৩০ কোটি টাকা ঋন নিয়েছিলেন।
ওই ৩০ কোটি টাকা আ'ত্মসাৎ করার জন্য তারা আ'ত্মগো'পন করেছিলেন। ব্রোকার হাউজ থেকে ৬০০ বিনিয়োগকারীর কাছ থেকে স্ট্যাম্পে চুক্তি করে ৩০ কোটি টাকা আ'ত্মসাৎ করেছেন, যা সম্পূর্ণ বেআইনি। তাদের বিরু'দ্ধে পাঁচটি মা'মলা করা হয়েছে।’
সোমবার (৬ জুলাই) নোয়াখালীর মাইজদি এলাকা থেকে শ’হীদুল্লাহ ও তার স্ত্রী নিপা সুলতানা নুপুরকে গ্রে'ফতার করা হয়। সেখানে তারা তাদের এক আ'ত্মীয়ের বাসায় আশ্রয় নিয়েছিলেন।
Leave a Reply