করো'নাভাইরাস থেকে আরোগ্য লাভ করতে কতটা সময় লাগবে তা চিকিৎসকদের ক্ষেত্রেও বলা কঠিন। বাড়িতে যারা করো'না থেকে সেরে উঠেছেন তাদের বেশিরভাগই সাত দিনে সুস্থ হয়েছেন। তবে অনেকের ক্ষেত্রে বেশিদিনও লাগতে পারে।
বিভিন্ন গবেষণা ও চিকিৎসকরা কোভিড-১৯ থেকে রোগীর আরোগ্য লাভের বি'ষয়টি তাদের শরীরের উপর নির্ভর করে বলে জানিয়েছেন। বিশেষ করে যাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভালো তারাই এই ব্যাধি থেকে দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠেছেন।
জ্বর সেরে যাওয়ার পর অনবরত কাশি কয়েক স'প্তাহ চলতে পারে। করো'না সংক্রমণ কাটিয়ে উঠলেও শরীর বেশ দূর্বল হয়ে পড়ে। যে কোনো কাজ করতে গেলেও হাঁপিয়ে ওঠা স্বাভাবিক। আবার কাজের পরেও অবসাদ বাড়বে। এই সময় স্বাস্থ্যকর খাবার ও প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে। স'ঙ্গে বিশ্রামও নিতে হবে।
যারা অক্সিজেন নিয়েছেন, বাড়িতে ফেরার পর তাদের শ্বা'সকষ্ট 'হতে পারে। সেই স'ঙ্গে অবসাদও বাড়তে পারে। কারণ প্রদাহ ও শরীরের ভেতরের জ'খম সেরে উঠতে তাদের অনেক সময় লাগবে। সম্পূর্ণভাবে সেরে উঠতে দুই থেকে আট' স'প্তাহ সময় লাগতে পারে।
এই সময় রোগীর মানসিক অবস্থার কথাও ভাবতে হবে। হাসপাতালে একা থাকা রোগীর জন্য খুবই কষ্টের। করো'না সংক্রমণ কে'টে যাওয়ার পরও রোগীর মানসিকভাবে সুস্থ 'হতেও বেশ খানিকটা সময় লাগে। এই সময় রোগীকে স্বাভাবিক জীবন যাত্রায় ফেরাতে তাদের সাহায্যের প্রয়োজন। সর্বদা তাদেরকে স'ঙ্গ দিতে হবে। পরিবারের উচিত যতটা সম্ভব তাকে হাসিখুশি রাখা।
যাদের উপসর্গ খুবই মা'রাত্মক…
হাসপাতালে যাদের ভেন্টিলেটর দেয়া হয় তাদের সেরে উঠতে ১২ থেকে ১৮ মাস সময় লাগে। বিভিন্ন উপসর্গ ছাড়াও, দীর্ঘদিন ধরে তারা নড়াচড়া না করায় তাদের পেশির শক্তি কমে যাব'ে। তাই পেশির বল ফিরে পেতে বেশ খানিকটা সময় লাগবে। কারো কারো ফিজিওথেরাপিও লাগতে পারে। ব্যায়াম করার জন্য তাদেরকে উৎসাহ দিতে হবে।
ইনটেনসিভ কেয়ারে যেসব রোগী চিকিৎসাধীন ছিলেন তারা মানসিক বিকারে ভুগতে পারেন। সর্বদা বিভ্রান্তি ও আনমনা হয়ে যেতে পারেন। তাদের মধ্যে কারো আবার স্মৃ'তিভ্রষ্ট হওয়ারও সম্ভাবনা রয়েছে। এমনকি তারা পি'টিএসডিতেও ভুগতে পারেন। এর থেকে স্বাভাবিক 'হতে ছয় স'প্তাহ থেকে তিন মাস সময় লাগতে পারে। মানসিক বিভিন্ন সমস্যা থেকে দ্রুত রেহাই পাওয়া সম্ভব যদি রোগী সর্বদা পরিবারের স'ঙ্গ পায়।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, নিজেকে সুস্থ রাখার উপর নির্ভর করে করো'না থেকে সেরে উঠতে কতটা সময় লাগবে। কোনো না কোনো স্বাস্থ্য সমস্যা হয়ত থেকেই যাব'ে। তাই ধূমপান, ম'দ্যপান ও অনিয়ন্ত্রিত জীবনা যাপন না করে বরং নিয়মিত ব্যায়াম ও পুষ্টিকর খাবার খেয়ে সুস্থ হয়ে উঠতে হবে।
সূত্র: বিবিসি
Leave a Reply