করো'না পরিস্থিতিতে কানাডার পর এবার অস্ট্রেলিয়ার সিডনি শহরের লাকেম্বায় উচ্চস্বরে আজান প্রচারের অনুমতি দেয়া হয়েছে। অস্ট্রেলিয়ায় সাধারণত মসজিদের ভেতরে আস্তে করে আজান দেয়া হয়।মসজিদ এবং ঈদের নামাজের সময় ছোট মাইক্রোফোন ব্যবহার করা হয়। কিন্তু করো'নার কারণে এই প্রথম উচ্চস্বরে অস্ট্রেলিয়ায় আজানের অনুমতি মিলল। রমজানের শেষ দিন পর্যন্ত লাকেম্বায় লাউডস্পিকারে করে মাগরিবের আজান প্রচার করা হবে।
মসজিদটির পরিচালনাকারী অ্যাসোসিয়েশনের (এলএমএ) নির্বাহী পরিচালক আহম'দ মালাস এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, অস্ট্রেলিয়ার লেবানীয় মুসলিম কমিউনিটির প্রচেষ্টায় এই বিরল কাজ সাধ্য হয়েছে।আহম'দ মালাস জানান, করো'নাভাইরাসের এই বৈশ্বিক মহা'মা'রীতে আজান প্রচার করার বি'ষয়টি গু'রুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। বুধবার সন্ধ্যায় যখন প্রথমবার আজান দেয়া হলো, পুরো মুসলিম কমিউনিটির মধ্যে সৃষ্টি হয় এক আবেগঘন পরিবেশ। এদিকে উচ্চস্বরে আজান অনুমতি মেলায় বাংলাদেশিসহ পুরো মুসলিম কমিউনিটিতে ব্যাপক ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে। সিডনির লাকেম্বা শহরে সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশি কমিউনিটি থাকে।
এর আগে কানাডার ইতিহাসে প্রথমবারের মতো মসজিদ থেকে জোরে আযান দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়। কানাডার কয়েকটি শহরে পবিত্র রমজান মাসের জন্য এই অনুমতি দেয়া হয়। ফলে রাজধানী অটোয়ার পাশাপাশি টরেন্টো, এডমন্টন ও হ্যামিল্টন শহরের মসজিদগু'লো থেকে জোহর, আসর ও মাগরিবের নামাজের আজান দেয়া যাব'ে। এতদিন কানাডায় মসজিদে নামাজ পড়ার অনুমতি থাকলেও মাইকে আজান দেয়ার অনুমতি ছিল না। সূত্র : পূবের কলম
Leave a Reply