দেশে করো'নার চিকিৎসায় আগামীকাল প্লাজমা থেরাপির কার্যকারিতা পরীক্ষা শুরু হচ্ছে। এ জন্য সব প্রস্তুতি এরইমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্লাজমা থেরাপি সংক্রা'ন্ত টেকনিক্যাল কমিটির প্রধান ও ঢাকা মেডিকেল কলেজের হেমাটোলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. এম এ খান।
তিনি বলেন, আমা'দের হাতে যে পরিমাণ কিট আছে তা দিয়ে শনিবার পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরু করতে পারব। সে জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের নীতিগত অনুমোদন নেয়া হয়েছে। অধ্যাপক ডা. এম এ খান বলেন, এ সময় আপাতত ঢাকা মেডিকেলের নিজস্ব খরচে পরীক্ষামূলক পর্যায় শুরু করা হলেও বড় আকারে এ প'দ্ধতি প্রয়োগ করতে গেলে সরকারের সহায়তা লাগবে।
তিনি জানান, দাতার শরীর থেকে প্লাজমা সংগ্রহের জন্য একটি বিশেষ কিট প্রয়োজন হয়। এ ধরনের প্রতিটি কিটের দাম ১২ হাজার টাকা। প্লাজমা'দাতার র'ক্তে অ্যান্টিবডির পরিমাণ জানতে যে পরীক্ষা করতে হয় সেজন্য স্পেন থেকে চারটি কিট আনার আদেশ দিয়েছেন তারা। প্রতিটি কিটের দাম পড়বে দেড় লাখ টাকা করে। একটি কিটে ৯০টি নমুনা পরীক্ষা করা যায়।
তিনি আরো জানান, পরীক্ষামূলক প্রয়োগ বলে রোগীকে প্লাজমা থেরাপি দেয়ার পর আরো কিছু পরীক্ষা করাতে হয়। কিছু পরীক্ষা ঢাকা মেডিকেলে হয়, কিছু পরীক্ষা বাইরে করাতে হবে। অধ্যাপক ডা. এম এ খান বলেন, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যে কোভিড-১৯ রোগীরা আছেন তাদের ওপরই আপাতত এ প'দ্ধতি প্রয়োগ করা হবে। এছাড়া ঢাকার আরো দুয়েকটা হাসপাতালে রোগীদের ওপর প্লাজমা থেরাপি প্রয়োগ করার পরিকল্পনা রয়েছে।
বিশ্ব জুড়েই করো'নার টিকা ও ওষুধ বের করার চেষ্টা চলছে। বিভিন্ন প'দ্ধতি ব্যবহার করে করো'নার চিকিৎসা করার প্রয়াসও চলছে। সেরকমই একটি প'দ্ধতি প্লাজমা থেরাপি। সহজে ভাষায়- যাদের করো'না হয়েছিল এবং সেরে উঠেছেন তাদের শরীরে করো'নার অ্যান্টিবডি তৈরি হয় বা র'ক্তে প্রোটিন জাতীয় পদার্থ তৈরি হয়; যা ওই ভাইরাস প্রতিরোধের ক্ষমতা রাখে।
প্লাজমা প'দ্ধতির অর্থ হলো- ওই ব্যক্তিদের র'ক্ত থেকে প্লাজমা সংগ্রহ করে করো'না আ'ক্রা'ন্তের শরীরে দেয়া। যাতে রোগীর শরীরেও অ্যান্টিবডি তৈরি হয়।
Leave a Reply